গানে গানে চেনা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

সিনেমা, বিনোদন

মাকসুদা লিপি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বিনোদন, বার্তা২৪.কম | 2023-12-22 21:27:44

‘কি আমার পরিচয়, ঠিকানা কি জানি না, গানটির গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু রেখে গিয়েছেন অসংখ্য স্মৃতি। সংগীত ভূবনকে দিয়ে গিয়েছেন হাজারো ভক্তদের জন্য অনেক জনপ্রিয় গান। তার লেখা গান ও সুর দিয়েই তিনি ভক্তদের মনে আজীবন বেচেঁ থাকবেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বেশিরভাগ গানই তার নিজের লেখা। অসংখ্য চলচ্চিত্রের গানে সুরও দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পথ চলা শুরু হয় তার। এরপর এক এক করে শুরু হয় তার লেখা ও সুরের গান।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জনপ্রিয় গানগুলো হলো-

‘বিদ্যালয় মোদের বিদ্যালয়, সেই রেল লাইনের ধারে, আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে, মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে, আম্মাজান আম্মাজান, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যখানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, তুমি আমার এমনই একজন, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, উত্তরে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম।

এছাড়া অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, একতারা লাগে না আমার দোতারা লাগেনা, একাত্তরের মা জননী, মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ারি মাসি হতে দেব না, তোমায় দেখলে মনে হয়, ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী, তোমায় দেখলে মনে হয়, তুই ছাড়া কে আছে আমার জগৎ সংসারে, আমি জীবন্ত একটা লাশ, গানে গানে চেনা হলো, এ বুকে বইছে যমুনা'।

এছাড়াও প্রায় তিনশতাধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তার পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্র হলো-

‘আমার স্বপ্ন তুমি, নিষিদ্ধ নারী, চাওয়া থেকে পাওয়া, হাজার বছর ধরে, মায়ের অধিকার, মরণের পরে, সহযাত্রী, আনন্দ অশ্রু, আম্মাজান, আব্বাজান, প্রেমের জ্বালা, প্রেমের তাজমহল, বিক্ষোভ, দুই নয়নের আলো, কষ্ট, তুমি বড় ভাগ্যবতী, সমাজকে বদলে দাওসহ রয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র’।

 প্রেমের তাজমহল ও হাজার বছর ধরে সংগীত পরিচালনার জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর