ওয়েব প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে কলকাতার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি এখন সর্বভারতীয় তারকা। কাজ করেছেন প্রথমসারির বলিউড সিনেমাতেও। আর কলকাতার সিনেমার নারীকেন্দ্রিক সিনেমার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে আগে তার নামটাই মাথায় আসে নির্মাতাদের। অনবদ্য এক অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা তিনি।
তার অভিনয় প্রতিভার সঙ্গে সমসাময়িক কোন অভিনেত্রীর তুলনা চলে না। যে কোন ধরনের চরিত্রে এতোটাই সাবলীল অভিনয় করেন যে দর্শক তার বিশ্বাস করতে বাধ্য হন। চরিত্র হয়ে উঠতে তার কোন কিছুতেই ‘না’ নেই।
এতো বড় তারকা হয়েও আরেক তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বস্তিকা! তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আজ এই নন্দিত অভিনেতার জন্মদিন। বিশেষ দিনে তার কাছে অগণিত শুভেচ্ছা বার্তা যাচ্ছে এটা নতুন করে বলার কিছুই নেই। কিন্তু স্বস্তিকার মতো তারকার কাছ থেকে এমন নিবেদনপূর্ণ শুভেচ্ছা বার্তা নিঃসন্দেহে চঞ্চলের জন্য আলাদা আনন্দযোগ।
স্বস্তিকা তার ফেসবুকে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘আয়নাবাজি’, ‘তকদির’, ‘কালপুরুষ’ আর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার্স অব মনোগামী’র পোস্টার শেয়ার করে একটু আগেই লিখেছেন, ‘আজ একটা খুব স্পেশাল দিন। না, কলকাতায় আজ ভোট, সেটার জন্য স্পেশাল নয়। বা আমার নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়েছে সেটার জন্যও নয়। আমরা আজকাল বলি কনটেন্ট ইস কিং। ঠিক। কিন্তু সেই রাজার ওপর মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন- সেই মহারাজের আজ জন্মদিন। নিজের কর্ম জীবনে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন আমি তার একটা কাজও মিস করি না। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা সেটা কি আর ছাড়া যায়? তাই স্ট্রিমিং শুরু হলেই আমি টিভির সামনে। রাত জাগতে হলেও দেখা না শেষ করে উঠি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘চরকি আর হইচইকে অশেষ ধন্যবাদ, ওরা না থাকলে এমন প্রকান্ড এক শিল্পীর কাজ না দেখে মরতে হতো। কি বিশাল একটা ক্ষতি হত সেটা। হ্যাপী বার্থডে চঞ্চল চৌধুরী। তোমার আজ এবং আগামী শুভ হোক, আলো হোক।’
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়কে এভাবে বিশ্লেষন করেছেন স্বস্তিকা, ‘তোমার বাম দিকে তাকালে বোঝা যায় না তোমার ডান দিকটা কেমন। এমনভাবে চরিত্র হয়ে ওঠ যে চিনতে পারা ভার। আরো ভাল কাজের অপেক্ষায় ছিলাম, আছি, থাকব। আমি অভিনেতা হিসেবে খুব লোভী, সব ভাল কাজ নিজে করতে চাই। দর্শক হিসেবেও লোভী, সব ভাল কাজ দেখতে চাই আর সেই কাজ তোমার হলে তো কথাই নেই। তুমি একটা গোটা ইনস্টিটিউশন। প্রত্যহ শিখি অভিনয়ের নতুন সব দিক দিগন্ত। অফুরান ভালবাসা নিও আমার প্রিয় শিল্পী। জেনো আমিই তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’
স্বস্তিকার এই পোস্টের নিচে অনেকেই এই দুই তারকার প্রশংসা করছেন। তারা এই দুজনকে একসঙ্গে পর্দার দেখার ইচ্ছে ব্যস্ত করেছেন।
চঞ্চল চৌধুরী এই পোস্টের কমেন্টে স্বভাবসুলভ বিনয় রেখে লিখেছেন, ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। তুমি যেভাবে লিখলে, আমি নিজেকে ওভাবে দেখিনি। প্রশংসাটা একটু বেশীই করলে! তবে ভালোই লাগছে। আরেকটা কথা বলে রাখি, আমিও তোমার অভিনয়ের ভক্ত ‘