বাংলাদেশের শোবিজের আদর্শ কাপল ছিলেন তাহসান খান আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। দর্শকের প্রিয় এই দম্পতির বিচ্ছেদের সময় যে পরিমাণ শোরগোল পড়েছিল সারাদেশে, তা অন্য কোন তারকা জুটির ক্ষেত্রে ঘটেনি।
তবে কোন অনুরোধ তাদের টলাতে পারেনি। এখন তারা দুই মেরুর বাসিন্দা। তবে কর্মক্ষেত্র যেহেতু একই, তাই মাঝেমধ্যে এক সুতোয় বাঁধা পড়তেই হয়। তেমনি হতে যাচ্ছে চরকির ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’তে। এখানে সাবেক এই তারকা দম্পতি একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। ফলে এই কাজটি নিয়ে দর্শকের আলাদা আগ্রহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক।
গতকাল ছিল এই সিরিজের সংবাদ সম্মেলন। সেখানেই বিচ্ছেদের এতো বছর পর একমঞ্চে উপস্থিত হন তাহসান-মিথিলা! একে তো দুজনকে একসঙ্গে এতো বছর পর দেখা গেলো, তাও আবার কোন মান-অভিমান, সংকোচ কিংবা ঈর্ষা কিছুই তাদের চোখে মুখে দেখা যায়নি। বরং তারা যেন সেই আগের মতোই খুনসুটিতেও মেতে ওঠেন।
সেখানেই তাহসানকে মিথিলা বলেন, ‘এখনই সব বলে দাও!’
তবে না, বিচ্ছেদের কারণ সেই শুরু থেকেই কাউকে জানাননি এই দুই তারকা। এবারও সেই সব গোপন কথা বলে দেননি তাহসান। কথাটি অন্য প্রসঙ্গে বলেছেন মিথিলা।
তাহসান যখন বলছিলেন, ‘সাত পর্বের সিরিজে আমার আর মিথিলার মাত্র একটি পর্বে একটি দৃশ্য একসঙ্গে রয়েছে, তখন মিথিলা সেই আগের মতোই তাহসানকে প্রতিউত্তর দেন, সব এখনি বলে দাও!’ এই যে একে অপরের মধ্যেকার রসায়ন সেটা সব কো আর্টিস্টের সঙ্গে হয় না!
শুধু তাই নয়, দুজন দুজনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রীতিমতো। সেই বক্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোই আলোচিত হচ্ছে। তাহসান মিথিলাকে প্রশংসা করে বলেন, ‘মিথিলা তো গুণী অভিনেত্রী। অনেক বছর পর তার সঙ্গে কাজ করেছি। যদিও সাত এপিসোডে একটা এপিসোডের একটা সিনে আমরা একে অপরকে দেখতে পাই।’
এই কথার পরই মিথিলা বলেন, এখনই সব বলে দাও! কারণ, এই দুই তারকা এই সিরিজে কিভাবে কাজ করেছেন তা দেখার কৌতুহল থেকেই অনেক দর্শক হয়তো সিরিজটি দেখতো। এ জন্য মিথিলা বিষয়টি লুকিয়েই রাখতে চেয়েছিলেন!
মিথিলা তাহসানকে নিয়ে বললেন, ‘‘বাজি’ তাহসানের প্রথম ওয়েব সিরিজ উইথ চরকি। একসঙ্গে আমরা অনেক মজা করে কাজ করেছি। ট্রেইলারটা সবার সঙ্গে আমি প্রথমবার দেখলাম। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। ক্রিকেট নিয়ে দেশে প্রথম এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ হয়েছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’’