মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ওপার বাংলার প্রখ্যাত নির্মাতা গৌতম ঘোষ নিমাণ করেছেন কালজয়ী সিনেমা। এই উপন্যাসের কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি বাঙালির অতি পরিচিতি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধি কুবের। যে হেরে যায় পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদের কূটকৌশলের কাছে।
আর গরীবের ঘরে জন্ম নেয়া কপিলাও স্বপ্ন দেখার অধিকার রাখে সুখের সংসারের। তাই সে আপন বোনের জামাইয়ের দিকে নজর দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না।
এই চরিত্র গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ছবিতে এই দুটি চিরত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ আর কলকাতার অভিনেত্রী-রাজনীতিবীদ রূপা গাঙ্গুলী।
এবার এই চরিত্র দুটিতে দেখা যাবে এ সময়ে ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা মিশু সাব্বির ও সামিরা খান মাহিকে। ‘এমন যদি হতো’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে থাকছে চরিত্র দুটি। এটি রচনা করেছেন রাজিবুল ইসলাম রাজিব। ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশনের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন সাজু মুনতাসীর। সিরিজটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ ও সাইদুর রহমান রাসেল।
এ সিরিজে শুধু কুবের-কপিলা নয়, রয়েছে আরও বেশকটি ঐতিহাসিক চরিত্র। যার মধ্যে আলাদীনের দৈত্য চরিত্রে হাজির হবেন অভিনেতা চাষী আলম। দেবদাস ও পার্বতী চরিত্রে দেখা যাবে ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েলকে।
ওপার বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে মুকিত জাকারিয়াকে দেখা যাবে ঢাকার ভানু চরিত্রে। টয়া আসবেন কাজী আনোয়ার হোসেনের গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের নায়িকা সোহানা হয়ে।
প্রযোজক সাজু মুনতাসীর জানান, সম্পূর্ণ ভিন্ন আমেজের নতুন আইডিয়ার একটি কাজ ‘এমন যদি হতো’। আমরা চেষ্টা করেছি সময়ের সেরা পরিচালকদের দিয়ে সেরা এবং জনপ্রিয় শিল্পীদের অভিনয়-সমৃদ্ধ সিরিজ তৈরি করতে। আশা করছি দর্শক খুব উপভোগ করবেন সিরিজটি।
এ ধারাবাহিকের নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ জানান, আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে মাছরাঙা টিভিতে প্রচার হবে ‘এমন যদি হতো’। প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে নাটকটি।