নির্মিত হয়েছে মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘জলরঙের ফড়িং’। শুভ্র খানের গল্পে খন্দকার হিমেলের পরিচালনায় নির্মিত ফিল্মটি শিগগিরিই মুক্তি পাবে ওটিটি প্লাটফর্মে। একজন সিঙ্গেল মাদার ও তার সন্তানের নিঃসঙ্গ বেড়ে ওঠা, সময়ের সাথে তৈরি হওয়া তাদের মধ্যকার দুরত্ব নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। ফিল্মটিতে ব্যবহৃত হয়েছে পাঁচটি গান।
নির্মাতা খন্দকার হিমেল বলেন, ‘‘শুভ্র খানের গল্পটি আকর্ষণ করেছিল। গানগুলোও লেখা ছিল। সবমিলিয়ে মনে হয়েছিল এটি একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম হতে পারে। আমাদের এই উত্তরাধুনিক সময়ে পারিবারিক সম্পর্কগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে উঠছে, সম্পর্কের সুরগুলো কেটে যাচ্ছে। সে সুর ফিরিয়ে আনার গল্পই ‘জলরঙের ফড়িং’।’’
চলচ্চিত্রটিতে বৈচিত্রময় অভিনয়শিল্পীর সন্নিবেশ ঘটেছে। এতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শায়লা খান। আশির দশকে বিটিভিতে প্রথম নাটকেই তিনি পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। বিটিভির প্রথম ধারাবাহিক আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সংসপ্তক’-এ সুবর্ণা মুস্তাফার বড়বোন আরিফা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। প্রায় তিনযুগ ধরে কানাডা ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এই ফিল্মটির মধ্য দিয়ে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটছে এ অভিনেত্রীর। ‘জলরঙের ফড়িং’-এর প্রযোজকও তিনি।
শায়লা খান বলেন, ‘‘প্রবাসে থাকলেও সবসময় দেশিয় সংস্কৃতির প্রতি টান অনুভব করেছি। তাই ব্যাক্তিগত ও সাংগঠিকভাবে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যখনই দেশে ফিরেছি টিভি পর্দায় হাজির হওয়ার তাড়নাটাও অনুভব করেছি। ‘জলরঙের ফড়িং’ অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প। আশা করছি দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।”
এই ওয়েব ফিল্মটি দিয়ে বাংলাদেশের পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে কলকাতার উঠতি নায়ক সুপ্রতীম রায়ের। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এ অভিনেতার ‘আবার আসিবো ফিরে’ চলচ্চিত্রটি। এছাড়া ‘বড়বাবু’, ‘আকরিক’, কিশোর কুমারের বায়োপিক-এ কিশোর কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে কেরালায় দুটি মালায়লাম সিনেমার শুটিং করছেন তিনি।
এছাড়া ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা থেকে উঠে আসা সঞ্চিতা দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘এ ওয়েব ফিল্মটা আমার কাছে বিশেষ, কারণ আমার চরিত্রটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর এ চলচ্চিত্রে আমি ‘জলরঙের ফড়িং’ নামের টাইটেল গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছি। এর আগে আমি কখনো গান নিয়ে দর্শকের সামনে আসিনি। তাই এ চলচ্চিত্রটা আমার জন্য বিশেষ অপেক্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”