চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক স্বীকৃতি ধরা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেরা ও প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্মাননা। ঠিক তেমনিভাবে ভারতীয় তারকাদেরও নজর থাকে সম্মানজনক এই পুরস্কারের দিকে।
সম্মানজনক এই স্বীকৃতি কেউ কেউ পেয়ে থাকেন ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পর। আবার যার কপাল ভালো তিনি অভিষেকেই অর্জন করেন এই সম্মান। চলুন জেনে নেওয়া যাক বলিউডের এমন কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম যারা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তুলেছেন।
বাবা রাজ কাপুরের পরিচালিত ‘মেরা নাম জোকার’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ঋষি কাপুর। যেখানে রাজু চরিত্রে অভিনয় করে জয় করে নেন দর্শকের হৃদয়। সেই সঙ্গে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৭০ সালে ঘরে তোলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
রূপালি পর্দায় বলিউডের এই অভিনেতার অভিষেক হয় ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৃগয়া’ ছবির মধ্য দিয়ে। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন বর্ষীয়ান এই তারকা।
এই ‘দঙ্গল’ কন্যাকে কে ভুলবেন! নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত এই ছবিটির মাধ্যমে জায়রার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয়। আর এই ছবিটি তাকে দিয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
বিকাশ বহেল
‘কুইন’ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় অর্জন করেছেন বিকাশ বহেল। কিন্তু বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার অভিষেক হয় ‘চিল্লার পার্টি’র মধ্য দিয়ে। এই ছবিটির সুবাদে একটি নয়, দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
‘মাকদে’ দিয়ে ২০০২ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করে শ্রেতা। ছবিটিতে তার অভিনয় দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাইতো সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে সে।
প্রতিভাবান এই শিশুশিল্পী ২০১৯ সালে ‘আই অ্যাম কালাম’র মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। যা তাকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
পরিচালক আমল গুপ্তের মতোই প্রতিভাবান তার ছেলে পার্থ গুপ্ত। তাইতো ছোট পার্থর অভিনীত ‘স্যানলি কা ডা্ব্বা’ বাজিমাত করে বক্স অফিসে। আর অভিষেক ছবির সুবাদে ২০১১ সালে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলে সে।