রূপালী পর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা হলেন সেইলরের শুভেচ্ছাদূত
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড সেইলর তাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা সিয়াম আহমেদ এবং বিদ্যা সিনহা মিমকে চুক্তিবদ্ধ করেছে। সম্প্রতি এক আয়োজনের মাধ্যমে এ ঘোষণা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে সেইলরের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেজাউল কবির এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের পরিচালকবৃন্দ সহ উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি আর মিম সিনেমায় খুব বেশি কাজ করিনি। তবে আমরা ভালো বন্ধু। আমরা একসঙ্গে মডেলিং করেছি অনেক। এবার একসঙ্গে সেইলরের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হয়ে ভালো লাগছে। আমি বরাবরই বলি, কোন ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে আমি সেটার ব্যাপারে খোজ খবর নিই। যখন সবকিছু পারফেক্ট মনে হয় তখনই যুক্ত হই। সেইলর তেমনি একটি ব্র্যান্ড। আশা করছি আমাদের মাধ্যমে সেইলর আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে।’
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘সেইলরের ডিজাউন ও কাপড়ের কোয়ালিটি আমার খুব ভালোলাগে। তাই আমি এমনিতেই কিনে পরতাম। আর এখন তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হলাম, ফলে আনন্দ লাগছে। আগেই আমি আর সিয়াম এই ব্র্যান্ডের দুটি প্রমোশনাল কাজ করেছি। মানুষ সেই কাজ দুটি খুব পছন্দ করে। আর এবার অ্যাম্বাসেডর হয়ে মনে হচ্ছে সেইলর আমারই ব্র্যান্ড।’
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা সেইলর আজ বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড। সেইলর-এর এই উদ্যোগ ফ্যাশন দুনিয়ায় এক বিপ্লব বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
সেইলরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সিয়াম ও মিমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগদান আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তাদের প্রতিভা, স্টাইল এবং জনপ্রিয়তা সেলরের দর্শনকে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে।’
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই উদ্যোগ শুধু গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখে না, বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রতি সেইলর-এর দায়বদ্ধতাও প্রতিফলিত করে। সেইলর দেশের ফ্যাশন দৃশ্যপটে এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে চায়, যেখানে কাস্টমারদের চাহিদা, চিত্তবিনোদন এবং গুণগত মান সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
এটি সেইলর-এর জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা । প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এর মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে ।সেইলর এক্ষেত্রে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা , ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ও নতুন সংগ্রহ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেন, যা ব্র্যান্ডটির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশী ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।