দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ২০ বছরের পর্দার ক্যারিয়ারে অভিনয় দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলছেন। মঞ্চ থেকে সিনেমা সব খানে পেয়েছেন সফলতা।
তবে এবারই প্রথম পেলেন রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৮ সালের চলচ্চিত্র ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন। তবে মোশাররফ করিমের মত অভিনেতাকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন মোশাররফ করিম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোশাররফ করিম বলেন, গত ৭ নভেম্বর দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় আমি নিজের নামও দেখতে পেয়েছি। নুর ইমরান মিঠু পরিচালিত ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রের জন্য আমাকে ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এই পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে আমার কিছু কথা রয়েছে। তার আগে সবাইকে অবগত করতে চাই, কৌতুকপূর্ণ বা কমেডি চরিত্র আমার কাছে অন্যসব চরিত্রের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি সেটি কোনোভাবেই কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালকসহ সহ-শিল্পীরা নিশ্চয় অবগত আছেন। একই সঙ্গে যারা ছবিটি দেখেছেন তারাও নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন 'কমলা রকেট' এ আমার অভিনয় করা ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কোনো কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলির একটি। তাই, সম্মানিত জুরি বোর্ডের কাছে আমার অনুরোধ, ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ আমার জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিলে ভালো হয়। না হলে আমার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে জানানো হয়েছে, আমি কাজটাকে ভালোবেসে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্খিসহ সকলের কাছে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। একই সঙ্গে যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এই মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। তাই লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হলো। আশা করছি পরিস্থিতিটি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।