প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে টেলিভিশনে নাটক দেখি। অন্য জায়গার টেলিভিশন নাটকে যেমন শাড়ি-গয়নার কমপিটিশন, কিংবা সংসারের খুনসুঁটিপনা দেখি, সে তুলনায় আমাদের নাটকগুলো অসাধারণ। আমাদের প্রত্যেকটা নাটকের ভেতর এতো জীবনধর্মী স্পর্শ রয়েছে, আমাদেরগুলো সব থেকে শ্রেষ্ঠ।’
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি বিদেশে যাই, তখন বিমানে বসে সিনেমা দেখি। আমার এতো ভালো লাগে, এতো চমৎকার চমৎকার সিনেমাগুলো। এজন্য চলচ্চিত্রের মানুষদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি। আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের সিনেমা দর্শক হারিয়েছে। কীভাবে দর্শককে আবারও হলে ফেরানো যায়, সে জন্য অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি আমরা। দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়েও সিনেমা হল ডিজিটাল করতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের জন্য সময় উপযোগী বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক। আয়োজনের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ।