কোনো গানের উৎসব নয়, তবুও একই মঞ্চে হাজির গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকেই। কাহিনি তো একটা আছেই।
কে এই দেবদীপ?
বর্ষবরণের রাতে রুফ কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের উপল সেনগুপ্ত। পুচকে বলে পরিচয় দেওয়া ছেলেটা একটা গান গাইল সেখানে। তারপর সেই ভিডিও এল ইউটিউবে। মাসখানেক না পেরুতেই সেই গান পুরো কলকাতাজুড়ে। হাওয়া লেগেছে এই বাংলায়ও। এখানকার অনেকেও শুনে ফেলেছে সেই গান। সেই পুচকে ছেলেটাই দেবদীপ, দেবদীপ মুখোপাধ্যায়।
পেছন ফিরি:
দেবদীপ গান শুনছেন, গান বাঁধছেন। সেই গান ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বিভিন্নভাবে। গানের সঙ্গে তার আলাপ লম্বা সময় ধরেই। শুধু খুব একটা আলাপ হয়নি তার গান শোনা মানুষগুলোর সঙ্গে এতদিনে। এবার হল খুব ভালভাবেই। তার গান ‘হয়নি আলাপ’-এর মাধ্যমে।
‘হয়নি আলাপ’, রুফ কনসার্টে গাওয়া সেই গানের ঝড় এখনও প্রবলবেগে ছুটছে ইন্টারনেটে। প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ চিনে ফেলছে দেবদীপকে, শুনে ফেলছে ইউটিউবে প্রকাশ পাওয়া তার অন্যান্য গানগুলো।
দেবদীপের প্রচুর ভক্ত জুটে গেছে এরমধ্যেই। সেখানে নারী ভক্তের সংখ্যাই বেশি। গানটা প্রচুর শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাওয়ার পেছনেও রয়েছে এই নারী ভক্তকুলের হাত। ধুপধাপ গোটা কয়েক প্রেম প্রস্তাব পেয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই থেমে গেল সবকিছু। বিয়ে করে ফেললেন দেবদীপ।
জানালেন, দু’বছর আগের আলাপ তাদের। চুটিয়ে প্রেম করছেন এক বছর ধরে। ঘর যে বাঁধবেন, এটা ঠিক করে ফেলেছিলেন ‘হয়নি আলাপ’ ভাইরাল হওয়ার আগেই।
পাত্রী সংহিতা সান্যাল। কলেজের প্রফেসর সংহিতা এর আগে সাংবাদিক ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে পাত্রীর গলায় মালা পরান দেবদীপ। তখন সাক্ষী ছিলেন তাদের অনেক প্রিয়জন। কী হবে এখন তাহলে নারী ভক্তদের!
দেবদীপ আশ্বাস দিলেন-
তোমাদের জন্য অনেক গান আছে। সংহিতার সঙ্গে তো আমি বৈবাহিক সম্পর্কে আছি, আর গানের জন্য তো আরও অনেকের সঙ্গে টান। সুতরাং ভেঙে পড়ো না, আমার গান আছে।
বিয়েটা করে খুব উচ্ছ্বাসেই আছেন দেবদীপ। তার কথাতেই সেটা স্পষ্ট।
জানালেন, বিশ্বস্ত মানুষজনের খুব অভাব আজকাল। বহু খুঁজে একজনকে পেয়েছেন, তাকে আর হারাতে চাননি। তবে তাদের বিয়েতে সবাই খুব আনন্দ করেছে। একফোঁটাও বিয়ে বিয়ে মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল যেন একটা পিকনিক।
আরও পড়ুনঃ
দ্বিতীয় সন্তানের মা হচ্ছেন ঈশিকা
ঊর্মিলার নতুন রূপ
তৌকীর আহমেদের চার পরামর্শ