খবরটা প্রথম জানা যায় অভিনেতা শিশির শর্মার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
তিনি বলছেন-
দুঃখের খবর, রীতা ভাদুড়ি আমাদের ছেড়ে গেলেন। একজন অসাধারণ মানুষকে হারালাম। এই ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছেই একজন মা ছিলেন রীতা দেবী। মাকে আমরা মিস করব।
আজ দুপুরের পরপরই পারসি ওয়াডা রোডের শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
খুব বড় কোনো অসুখ হয়নি রীতা ভাদুড়ির। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অনেকদিন ধরেই।
হাসপাতালে ছিলেন গত দশদিন। ডায়ালাইসিস চলছিল। অবস্থার উন্নতি হয়নি তাতে।
বরং অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তার দেহ নিথর হয়ে যায়।
তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ চেনাজানা বিভিন্ন ব্যক্তি।
দীর্ঘদিন বলিউড দাপিয়ে বেড়ানো রীতা ভাদুড়িকে দেখা গেছে ৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ৩০টিরও বেশি টেলিভিশন ধারাবাহিকে।
সর্বশেষ কাজ করেছেন ‘নিমকি মুখিয়া’ নামক ধারাবাহিকে ঠাম্মার চরিত্রে।
একই ধারাবাহিকের ‘রেখা’ অর্থাৎ শিবানী চক্রবর্তী বলছেন-
আমি ওনাকে ভুলব না। সহ অভিনেত্রীর চেয়েও বেশি, খুব ভাল মানুষ ছিলেন। সবসময়ে মুখে হাসি লেগে থাকত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতাম। ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। সবচেয়ে বেশি শিখেছি, সবসময়ে ইতিবাচক থাকতে। ভীষণ কাজ ভালবাসতেন আর সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও উৎসাহ দিতেন। আমাদের পুরো টিমের জন্য এটা খুব খারাপ খবর।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মিডিয়া পাড়ায়।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বলছেন-
আমার সঙ্গে ওনার খুব বেশি শুট ছিল না, কিন্তু যেটুকু দেখেছি, তা থেকে বোঝাই যায় উনি অন্তর থেকে একজন সুখী মানুষ ছিলেন। সবসময়ে পজিটিভ এনার্জিতে ভরপুর, সবসময়ে হাসিমুখ। সবচেয়ে বড় কথা, সিনিয়র অভিনেত্রী বলে গ্রাম্ভারি ভাব ছিল না একটুও। সেটের সবার সঙ্গে দুষ্টুমি করতেন, মজা করতেন। সবাই ওকে খুব মিস করব।
রীতা ভাদুড়ি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন ১৯৬৮ সালে। ‘তেরি তালাশ মে’ তার প্রথম চলচ্চিত্র।
১৯৯৫ সালে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তিনি। ‘রাজা’ ছবিতে তার অভিনয় আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
সংসার জীবনে রীতা ভাদুড়ি রাজীভ ভার্মার স্ত্রী ছিলেন। তাদের দু’জন ছেলে রয়েছে।