গেলো শনিবার মাকে হারিয়েছেন; তবে শেষ দেখাটা হয়নি মায়ের সঙ্গে। মুম্বাই থেকে জয়পুরে যেতে বিমানে সময় লাগে ১ঘণ্টা ৫৫মিনিট। তবুও শহর জুড়ে লকডাউনের কারণে শেষ দেখা হয়নি মা ছেলের। তাই তো বেশ তাড়াহুড়ো জুড়ে দিলেন ইরফান খান।
খবর এলো, কোলন ইনফেকশন সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুবাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ইরফান। রাখা হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর আরও গভীর হলো। ইরফান খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে।
রাত শেষে ভোর হলো, সেই ভোরে নতুন কোন গল্প লেখা হলো না। এরপর যে খবর এলো সেই খবরের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না করোনা কালের সকাল। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালেই ঘুমিয়ে গেলো বলিউডের সবচেয়ে শীতল চোখ দুটো। চলে গেলেন ইরফান খান। এ যেন মায়ের কাছে যেতেই ইরফান খানের এতো তাড়াহুড়ো।
৩ দিন আগে মা সাইদা বেগম চলে গেলেন ৯৫ বছর বয়সে, আর ইরফান মায়ের সঙ্গে শেষ দেখার হিসাব মিলাতে বড্ড তাড়াহুড়ো করে পাড়ি দিলেন ৫৩ বছর বয়সে। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে যেনো নিজের প্রথম সিনেমার মত বিশ্বকে বলে গেলেন ‘সালাম বোম্বে’। বলে গেলেন মায়ের কাছে যাচ্ছি, ‘অ্যাংরেজি মিডিয়ামে’ আর দেখা হবে না কোনদিন।
আরও পড়ুন