৬ শর্ত মেনে নিজ দায়িত্বে ১৭ মে (রোববার) থেকে টিভি নাটকের শুটিং করতে পারবেন নির্মাতা-অভিনয়শিল্পীরা; গেলো ১৫ মে রাতে টিভি নাটকের ১৯ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃসংগঠন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।
কিন্তু শুটিং শুরুর একদিন পরই এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আন্তঃসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
এক নোটিশে সংগঠনটি জানিয়েছে, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারন করছে তাই আন্তঃ সংগঠন তাদের স্ব স্ব সংগঠন সমূহের সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ওজোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে সাময়িক শিথিল অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৬ শর্তে রোববার শুটিংয়ে ফিরছে টিভি নাটক
শুটিং বন্ধ করার অন্য কারণ হিসাবে সংগঠনটি জানিয়েছে, একই সাথে দেশের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব জনাব সৈয়দ হাসান ইমাম, আবুল হায়াত এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী, সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা সহ সংগঠন সমূহের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্যুটিং কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য আহবান জানালে, আন্তুঃ সংগঠন ১৭ মে বিকেলে এক জরুরী সভায় মিলিত হয়ে সকল সংগঠনের সদস্যগন ও উপদেষ্টা মণ্ডলীর মতামতের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সবধরনের শুটিং কার্যক্রম স্থগিত রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটকের শুটিং শুরুর আগেই সভাপতির পদ ছাড়লেন ইরেশ যাকের
এছাড়া ঐ নোটিশে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে যারা শুটিং শুরু করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুটিং শেষ করে ঘরে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই শুটিং বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হবে।
এর আগে আন্তঃসংগঠনের ৬ শর্তে ফেরার সিদ্ধান্তে টিভি নাটকের অনেকেই অনাস্থা জানিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, সদস্যদের কথা চিন্তা না করে নেতারা নিজেদের স্বার্থেই এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যেই টেলিপ্যাবের সভাপতির পদ ছাড়তে ১৬ মে (শনিবার) বিকালে সংগঠন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন টেলিপ্যাব এর সভাপতি অভিনেতা ও প্রযোজক ইরেশ যাকের।
এর আগে ২২ মার্চ থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় টিভি নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো।