মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে বর্তমানে লকডাউনে রয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। যার মধ্যে আছে ভারতও। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী ও কোম্পানিকে। তবে এসবের মধ্যে যেটির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে, তার মধ্যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে ক্যামেরার সামনে এবং পেছনে থেকে অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে কাজ করে থাকেন। বলতে গেলে মানুষকে নিয়ে এবং মানুষের জন্যই তৈরি হয় সিনেমা। কিন্তু এই মানুষগুলোই যদি একত্রিত হয়ে কাজ নাই করতে পারে তাহলে ভারতীয় সিনেমার ভবিষ্যৎ কি হবে?
এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১১ মে জুম’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ২০টি দেশ একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। শুটিং শুরুর অনুমতি দেওয়ার পর সেখানে কি কি নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে ওই বৈঠকে সেসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে ভারতের হয়ে অংশে নিয়েছিলেন চিন্তার জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং চেয়ারপারসন অতুল বেল।
ওই বৈঠকে হওয়া কথাবাত্রা প্রসঙ্গে অতুল বলেন, ‘ভারতসহ বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো শুটিংয়ের জন্য বিদেশে গিয়ে থাকেন। এমনকি মাঝে মধ্যে বিদেশি প্রোডাকশন হাউজগুলোও ছবি প্রযোজনা করে থাকে। এসব এর শুরুতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয় সেটি হল গ্লোবাল হ্যান্ডশেক। কিন্তু এমনটি আর মোটেও করা যাবে না এবং এসবের জন্য সবসময় সময় থাকতে হবে প্রস্তুত। কেননা আমরা চাই ছবির কাজ পুনরায় শুরু হোক। কিন্তু এর দ্বারা কারো জীবন ঝুঁকিতে পড়ুক এমনটা মোটেও আমাদের চাওয়া নয়।’
যোগ করে অতুল বলেন, ওই বৈঠকে আরও একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেটি হল- ছবির ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। সংক্রমণ বিস্তার রোধে ছবিতে আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকছে না বলে জানিয়েছে ভারত সরকার ও স্টেট মিউনিসিপাল কর্পোরেশন।
তাই বোঝাই যাচ্ছে, করোনাভাইরাসের আগে মানুষ যেভাবে ছবি দেখে অভ্যস্ত ছিল এখন আর তেমনটি পাওয়া যাবে না এইটুকু নিশ্চিত। যে কোন সিনেমা প্রেমের জন্য বিষয়টি মানা শুরুতে কষ্টকর হলেও সময়ের সঙ্গে সেটি ঠিক হয়ে যাবে।