১৪ তম এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত সিনেমা ‘ন ডরাই’। গেলো ১ জুন সিনেমাটির প্রযোজক স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমানকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অ্যাওয়ার্ড কতৃপক্ষ। প্রতিযোগিতায় ‘ফিকশন ফিল্ম’ ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের জন্য ‘Dare to surf’ নামে আমন্ত্রিত হয়েছে সিনেমাটি বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
এবারের প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের চুড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী অক্টোবরে। ২৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৭০ টি দেশের চলচ্চিত্রের মধ্যে সেরা সিনেমাগুলো এ প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষের জন্য বিশ্বমানের আধুনিক সিনেমা হল উপহার দেয়ার পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের নানামুখী প্রয়াস বিশেষভাবে প্রশংসিত। দেশীয় চলচ্চিত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল কতৃপক্ষ বরাবরই সচেষ্ট। গতাণুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভিন্নধর্মী সিনেমা নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণেও যুক্ত হয়েছেন তারা। ‘ন ডরাই’ তাদের প্রথম সিনেমা। তাই এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতায় সিনেমাটির আমন্ত্রণ পাওয়া বিশেষ আনন্দের বলে জানান প্রযোজক মাহবুব রহমান।
তিনি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সুখকর। ‘ন ডরাই’ আমাদের প্রথম সিনেমা। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছি। দর্শক-সমালোচকদের কাছে দারুণ সাড়া পেয়েছি আমরা। আজকের এ আনন্দ দর্শকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। ছবিটি একটা সম্মানজনক জায়গায় গেলে আমার দেশ এবং দেশের দর্শকরা গৌরবের অংশীদার হবেন। ছবিটিকে যারা নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর মুক্তি পায় ‘ন ডরাই’। সার্ফিং নিয়ে নির্মিত দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র এটি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। কক্সবাজারের এক তরুণ নারী সার্ফারের বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’।
এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। আরও আছেন সাঈদ বাবু, শরীফুল রাজসহ অনেকে। একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত হয়েই মূলত এই সিনেমার গল্প। নারীর এগিয়ে যাওয়ার বার্তা আছে সিনেমাটিতে। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা। তবে তা সবাই যেন বুঝতে পারেন, সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে।