দর্শককে দেখানোর জন্য মানসিকতাকে ছোট করা খারাপ: অমি

ছোটপর্দা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 04:01:34

ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির নাটক মানেই ইউটিউবে মিলিয়ন ভিউ। অভিযোগ আছে এই ভিউ ধরতেই বাংলা নাটকের গল্পের ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এসব প্রসঙ্গে কী ভাবছেন এই নির্মাতা। সম্প্রতি বার্তা২৪.কমের সঙ্গে এক দীর্ঘ আলাপচারিতায় অংশ নিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অমি। তার সঙ্গে কথা বলেছেন ইসমাইল উদ্দীন সাকিব ও জাহিদুল হক আসিফ।

বার্তা২৪.কম: নাটকের জন্য ইউটিউব ভিউ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ভিউ কম হয় বলেই কি পরিচালকরা নিজেদের ধারার বাইরে ভিন্ন কাজ করতে চায় না?

অমি: ভিউ মানে দর্শক। আপনার কাজ যদি ১ কোটি মানুষ দেখে, সেটা অবশ্যই ভাল দিক। খারাপ দিক হলো আপনি পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কোনো সুড়সুড়ি মূলক বা এমন কিছু দেখাচ্ছেন যার মধ্যে খারাপ জিনিস রয়েছে। ওই মানসিকতাটা খুবই খারাপ। ভাল জিনিসেরও প্রচুর ভিউ হচ্ছে। তাই ভিউকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। কিন্তু দর্শককে দেখানোর জন্য মানসিকতাকে ছোট করা খারাপ।

কাজল আরেফিন অমি, ছবি: সংগৃহীত

বার্তা২৪.কম: অভিযোগ আছে এই ভিউ ধরতেই বাংলা নাটকের গল্পের ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই যেমন বর্তমানে আমাদের অধিকাংশ নাটকই প্রেম নির্ভর...

অমি: প্রেম ছাড়াও অসংখ্য নাটক হচ্ছে। এই ঈদে আমার ‘ব্যাচেলর কোয়ারেন্টিন’ দেখেন; এটি প্রেমের বাইরের গল্প। ‘মিসিং’ একটি সংসারের গল্প। মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ের ‘উপহার’ পরিবারের গল্প। তবে আমাদের দেশে অধিকাংশ কাজই প্রেম নির্ভর। কারণ আমাদের দেশে থ্রিলার কাজ একটু কম হয়; হরর, সায়েন্স ফিকশন কাজ হয় না। তাই আমাদের অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে হবেনা, আমাদের চিন্তা করতে হবে আমাদের কতটুকু আছে, কতটুকু যোগ্য। তা ভেবে আমরা রোমান্টিক কাজ বেশি করি, চারপাশের সহায়তা অনুযায়ী। যদি আমাদের এখানে সায়েন্স ফিকশন করার সুযোগ থাকতো, থ্রিলার কাজ যদি ভালোভাবে সহায়তা নিয়ে করা যেতো আমরা করতাম। থ্রিলার কাজ করতে প্রশাসনের সহয়তা লাগবে, কিন্তু আমরা সব ধরণের সহায়তা পাই না। কারণ শুটিং এর সহায়তা দেওয়ার মতো সুযোগ হয়তো প্রশানসের থাকেনা। থ্রিলার কাজ করতে গেলে অনেক জায়গার দরকার, আমরা পাই না। আমাদের সময় বেশি লাগবে, ফলে প্রোডাকশনের বাজেটটা বেড়ে যায়। মোটামুটি মানসম্মত কাজ করলেও দর্শক তো গ্রহণ করছে না বিদেশি থ্রিলার দেখে অভ্যস্ত বলে। কম বাজেটে এর চেয়ে ভাল করা ত সম্ভব না। সায়েন্স ফিকশন,ভিএফক্স করার সুযোগই নেই। যার ফলে আমাদের প্রেমের গল্প বেশি করতে হয়।

কাজল আরেফিন অমি, ছবি: সংগৃহীত

বার্তা২৪.কম: নাটক তো অনেক হলো, সিনেমা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আছে?

অমি: সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। সিনেমায় আমার মূল লক্ষ্য। বাকিটা সময় বলে দিবে। মানসিকভাবে প্রস্তুত, এখন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও কিছু সময় প্রয়োজন। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা করবো।

বার্তা২৪.কম: করোনায় মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা প্রভাব পড়বে?

অমি: মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের সবারই ক্ষতি হয়েছে। আমরাও কিন্তু ফ্রিল্যান্সার। সবচেয়ে বড় বিষয়, আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমরা জানিনা, কিন্তু যখন আমাদের কাজ শুরু হবে তখন সবার অনেক বেশি সুষম বণ্টন, অন্যের দিকটা বিবেচনা এবং একজন আরেকজনকে সহায়তা করতে হবে। অন্যথায়, আমাদের সম্পূর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে তখন উশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে।


বার্তা২৪.কমের সঙ্গে এক দীর্ঘ আলাপচারিতার প্রথম পর্বে কাজল আরেফিন অমি কথা বলেছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বির্তক নিয়ে।

সেই সাক্ষাৎকারটি পড়ুন: শিক্ষা দিতে আসিনি, বিনোদন দিতে এসেছি: অমি


 

এ সম্পর্কিত আরও খবর