বাহারি রঙের ফুলে সেজেছে ঢাবি

, ফিচার

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 23:33:01

‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুদার লাগি, দুটি যদি জোটে তবে একটিতে ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী’। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই বাক্য দুইটির গভীরতা ফুলপ্রেমীরা খুব সহজেই বুঝতে পারে। মনে আবেগ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ফুল। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। তাই ঋতুভেদে এদেশে দেখা মিলে অনেক রকম ফুলের। আর যদি বলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা, তাহলে বলতে অপেক্ষা রাখে না যে বিভিন্ন ফুলে মুখোরিত থাকে সেখানের পরিবেশ।

ছবি: বার্তা২৪.কম

শুধু ফুলই নয়, পাখ-পাখালির কলতানের মুখরিত হয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। মায়াবী এ ক্যাম্পাসে পা রাখতেই পাখির কিচিমিচি কানে এসে পৌঁছায়। ঋতুভেদে হাজির হয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, ঘুরে বেড়ায় আপন মনে। এছাড়া অনেক রকমের গাছ-গাছালির সমহার রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গাছ-পালার সবুজ পত্র-পল্লব দিয়ে সারা বছর জুড়ে সাজিয়ে রাখে মায়াবী এ ক্যাম্পাসকে। 

ছবি: বার্তা২৪.কম

চলছে হেমন্তকাল। এ সময়ে সারা ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে জামরুল, রাধাচড়া, নানা প্রজাতির গোলাপ, মধুমালতি, কামিনী, জবা, বেলি, সোনালু ও স্বর্ণচাপা ফুলে। সাথে যোগ হয়েছে কাঠফাটা রৌদ্রের রঙ- বেরঙের বাহারী ফুলের সমাহার। ফুলগুলো ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক মানুষ আসে এই অপরূপ সৌন্দর্য্য অনুভব করতে। দৃষ্টিনন্দন ফুলে এমন রূপ যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের ব্যকুল করে তোলে।

ছবি: বার্তা২৪.কম

খানিকটা প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুঁটে যায় মায়াবী এই প্রাঙ্গণে। কেউ আবার যায় নিজের আবেগ প্রকাশ করতে। মন ভালো হোক কিংবা খারাপ, প্রকৃতির যেন খুব সুন্দর ভাবে তা আপন করে নিতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ যেন নিজের এক আলাদা নিয়মেই চলে। দিনের একেক সময় একেক রূপে থাকে এই ক্যাম্পাস। সকালে শীতল বাতাস, ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে সতেজ করে তোলে। দুপুরের রোদ গায়ে লাগলেও গাছ-গাছালির ছায়া যেন অন্যরকম আরাম দেয়। বিকেলের মৃদু রোদ মুখে হাঁসি ফুটিয়ে তোলে। আর সন্ধ্যায় যখন ফুল এবং পাতার ঘ্রাণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছায় তখন যেন সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। সাথে থাকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, যা চলতে থাকে রাত অবদি। সব মিলেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের মায়াবী আভায় সবাই যেন আঁকড়ে রাখে।

ছবি: বার্তা২৪.কম

এ সম্পর্কিত আরও খবর