একটি আর্ট সেন্টারের বাঁচার লড়াই

, ফিচার

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 15:22:18

ব্যাংকক: এখানে বিটিএস স্টেশন সিয়াম, সেন্ট্রাল, এমআরটি স্টেশন ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, শপিং মল এমবিকে আর ব্যাংকক আর্ট এ্যান্ড কালচারাল সেন্টার সবগুলো স্থানই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। তবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না ব্যাংকক আর্ট এ্যান্ড কালচারাল সেন্টারের। ব্যাংকক মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরো কয়েক বছরের জন্য সেন্টারকে পেলেও আর্থিক সামর্থ্য যোগাতে হিমসিম খাচ্ছে বিএসিসি ফাউন্ডেশন। 


সম্প্রতি আমরা ঘুরে আসি ব্যাংকক আর্ট এন্ড কালচারাল সেন্টার। সেখানে কয়েকশত মানুষের চিঠি আর পোস্ট কার্ড ঝোলানো। যেখানে তারা এই সেন্টারের প্রতি তাদের ভালবাসার কথা জানিয়েছেন। বিএসিসি’কে টিকে থাকার কথা বলেছেন এবং সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। নেটিজেনরা মনে করেন, শুধু আর্থিক দৈন্যদশা নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কারনের মিশেল রয়েছে বিএসিসি’র প্রতি কর্তৃপক্ষের এই অবহেলার।


৯ তলা বিশিষ্ঠ একটি আকর্ষনীয় ভবন বিএসিসি। সমসাময়িক শিল্প প্রদর্শনের জন্য এটি এরই মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। চিত্রশিল্প, সংগীত, মঞ্চ নাটক, চলচিত্র. নকশা, ফ্যাশনসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর জন্য এই সেন্টারটি ব্যবহৃত হয়। এখানে রয়েছে ক্যাফে, বানিজ্যিক চিত্র গ্যালারী, বইয়ের দোকান, হস্তশিল্পের দোকান এবং শিল্প গ্রন্থাগার। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ব্যাংকককে স্থান করে দিতে এই সেন্টারের ভূমিকা আছে বলতেই হবে। উদ্বোধনের বছর ২০০৭ সালে এই সেন্টার প্রদর্শন করেন ৩ লাখ মানুষ। যেটা ১০ বছরে ১৭ লাখে পৌছায়।


ব্যাংকক মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা এই সেন্টারটি পরিচালনায় রয়েছ বিএসিসি ফাউন্ডেশন। আর্থিক সংকট মেটাতে এখন বছর জুড়েই বিভিন্ন আয়োজন করা হচ্ছে বিএসিসি ফান্ড রাইজিং প্রজেক্টের অধীনে। পোস্ট কার্ড থেকে শুরু করে দেশের বিখ্যাত শিল্পীদের চিত্রকর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্তরের শিল্পীরাও এগিয়ে আসছেন এই সেন্টারটিকে আর্থিকভাবে সামর্থ্য করে তুলতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর