গাড়ি দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে গতি ঠিক না রাখা। কোন রাস্তায় কত কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে পারবে তা সড়কের পাশেই বড় আকারে সাইনবোর্ডে লেখা থাকে।
কিন্তু সাইনবোর্ডে যদি দুই ধরনের গতিসীমা লেখা থাকে, তখন ড্রাইভাররা দিধাদ্বন্দ্বে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা কোন গতি ফলো করে গাড়ি চালাবেন সেটাই বোঝা মুশকিল হয়ে যাবে।
চালকদের গাড়ি চালাতে গিয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েলসের সড়কে। সড়কের ডান পাশের সাইনবোর্ডে লেখা গতিসীমা ২০ মাইল; আবার বাম পাশে লেখা গতিসীমা ৩০ মাইল। সাইনবোর্ডে এমন লেখার কারণে চালকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও।
স্থানীয় কাউন্সিল বলছেন, কী কারণে এমনটা হয়েছে সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না। সাইনবোর্ডটি সংশোধন করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা সাইনবোর্ডের বিভ্রান্তিকর গতিসীমা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মানুষ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন।
একজন ফেসবুক ব্যবহারী লিখেছেন, তাকে এই চিহ্ন দেখে দুইবার গতিসীমা পরিবর্তন করতে হয়েছে।
আরেকজন মজার ছলে পরামর্শ দিয়ে কমেন্ট করেছেন, লিনানোর পরিবর্তে গ্রামটির নাম ‘থার্টি নো মোর’নাম রাখলে ভালো হত।
ওয়েলস সরকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনগণকে সতর্ক হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত সাইনবোর্ডটি ঠিক করা হচ্ছে।
এদিকে, দেশটির বিরোধী দল ওয়েলস কনজারভেটিভ পার্টি সরকারের এমন উদাসীনতার সমালোচনা করেছেন।