থাইল্যান্ডকে জানতে ট্রাট ওয়াকিং স্ট্রিট

, ফিচার

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া | 2023-10-14 22:05:12

থাইল্যান্ডের সব পর্যটন শহরেই ওয়াকিং স্ট্রিট রয়েছে। কোথাও সেটা বড় জাঁকজমকপূর্ণ আবার কোথাও ছোট আর স্থানীয় সংস্কৃতির আবহে পূর্ন। ওয়াকিং স্ট্রিট হচ্ছে সান্ধ্যকালীন মার্কেট। এখানে বিকেলকেই সন্ধ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

সাধারনত বাংলাদেশের পর্যটকরা বেশিরভাগ পাতায়া বা ফুকেটে ভ্রমণ করেন। তাই ওয়াকিং স্ট্রিট সম্পর্কে তাদের যে ধারণা, সেটার সঙ্গে চিয়াং মাই বা ট্রাটের ওয়াকিং স্ট্রিট একেবারেই মেলানো যাবে না। 

দুই পাশে রয়েছে ভ্রাম্যমান দোকান ছবি: মাজেদুল নয়ন

আজকে ট্রাটের ওয়াকিং স্ট্রিট নিয়েই কথা বলব৷ থাইল্যান্ডের দক্ষিন-পূর্বের প্রদেশ ট্রাট। পরিবেশবান্ধব পর্যটনের জন্য দুনিয়াজুড়ে সুনাম রয়েছে এই অঞ্চলের। বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় এখানে বৃষ্টিপাত থাকে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল এই ৬ মাসই মূলত পর্যটন মৌসুম। 

ট্রাটের সুকুমভিত সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ওয়াকিং স্ট্রিট মার্কেট। এটা অনেকটাই স্থানীয়দের মার্কেট যা শুধুমাত্র শনি ও রোববারে বসে। বিকেল থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। পুরো শহরের মানুষ ভীড় জমাতে থাকে ওয়াকিং স্ট্রিটে।

রকমারি থাই খাবার ছবি: মাজেদুল নয়ন

জেলখানা রোড দিয়ে ওয়াকিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতেই ভেসে আসল রকমারি থাই খাবারে ঘ্রান। খুব বেশি প্রসস্থ নয় সড়কটি। তবে দুই পাশেই রয়েছে ভ্রাম্যমান দোকান। 

এই ওয়াকিং স্ট্রিটে খাবারের দোকানই মূখ্য। দর্শনার্থীরাও বেশিরভাগই এসেছেন ঘুরে ঘুরে রাতের খাবার কিনতে অথবা রাতের খাবার শেষে মিষ্টান্ন কিনতে। এখানে ফ্যাশন সামগ্রীর দোকান হাতেগোনা পাঁচ অথবা ছয়টির বেশি নয়। সেখানেও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়চোপড়ই বেশি চোখে পড়ল। দোকানগুলো আমাদের গ্রামাঞ্চলের হাট বারের বাজারের মতো। 

 দর্শনার্থীরা আসেন রাতের খাবার কিনতে ছবি: মাজেদুল নয়ন

তবে স্থানীয় গানের ব্যান্ড এবং গায়কদের উপস্থিতি তুলনামূলক থাইল্যান্ডের অন্যান্য ওয়াকিং স্ট্রিটের তুলনায় বেশি। এখানে গান গেয়ে উপার্জনের চেয়ে হয়তো সময় কাটানো বা শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোই তাদের অন্যতম লক্ষ্য। 

সম থাম (থাই পাপায়া লেমন সালাদ), সাই উয়াহ (উত্তর থাইল্যান্ডের বিশেষ সসেজ), মু পিং (বারবিকিউ পর্ক মেরিনেটেড স্ক্রুস), টড মুন প্লা (থাই ফিস কেক), পহ পিয়াহ টোড,  (থাই স্প্রিং রোল), হরেক রকম পোকামাকড়সহ অন্তত একশত ধরনের খাবার আর পানীয় চোখে পড়ল। আর মিষ্টান্নের সমারোহতো আছেই।

স্থানীয় গানের ব্যান্ড মাতিয়ে রাখে স্ট্রিটকে ছবি: মাজেদুল নয়ন

এখানে ক্রেতা বিক্রেতা প্রায় সকলেই একে অপরের পরিচিত। তাই কেনা-কাটার সঙ্গে খোশগল্পও জুড়ে দিচ্ছেন অনেকে। 

রাত আটটার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ট্রাটের ওয়াকিং স্ট্রিট। তাই পর্যটকরা দেরি করে আসলে খুব বেশি সময় পান না এখানকার স্থানীয় অভ্যর্থনা গ্রহন করতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর