আশ্বিনের মাসের দেবীপক্ষে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজার ৩য় দিন আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর)। দুর্গোৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন মহাঅষ্টমী।
বসন্তে দেবী পূজার প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গেছিলেন মহাপুরুষ শ্রীরাম। রাবণকে বধ করার উদ্দেশ্যে শরতে দেবীর অকালবোধন করেন তিনি। সেই থেকে শরতেই দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়।
আশ্বিনের শুক্লাষ্টমীকে বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এইদিনে ১০৮টি পদ্মফুল উৎসর্গ করা হয় দেবীর পায়ে। জ্বালানো হয় ১০৮টি ঘিয়ের প্রদীপ। অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণ অবধি দেবীর পুজো চলতে থাকে। এই ক্ষণকে বলে সন্ধিক্ষণ। কেননা, অষ্টমী তিথির অন্তিম এবং নবমী তিথির প্রারম্ভের সম্মলনের সন্ধিঘটে এই বিশেষ ক্ষণের। তাই এই সন্ধিক্ষণে বিশেষ সন্ধিপূজা হয়। চণ্ডীপাঠ, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘণ্টা- সব মিলিয়ে চারদিক মুখোরিত হয় দুর্গা আরাধনায়।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী আজকের দিনেই দেবীদুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। অষ্টমী তিথিকে সকল দেবতাগণ অসুর বধে সাহায্য স্বরূপ দেবীকে নানাবিধ অস্ত্র উপহার দেন। দেবীর দশ হাত দেবতাদের বিশেষ শক্তিসম্পন্ন অস্ত্রে পরিপূর্ণ হয় ওঠে। অসুর বিনাশী দেবী দুর্গার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করে আজ মহোৎসব পালন করে ভক্তরা।
এছাড়াও আরও কিছু কারণে অষ্টমী পুজোর দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বিশেষত্ব পায়। আজকে দিনে কুমারীপূজা করা হয়। অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী কোনো বালিকা বা কিশোরীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করার এই রীতিই মূলত কুমারী পূজা। প্রতিটি নারীই দেবীর অংশ, তাদের দেবীজ্ঞানে শ্রদ্ধাভক্তি প্রদান করা উচিত- সেই বার্তা প্রচার করা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় কুমারী পুজার মাধ্যমে।