ভাইরাস আসলে কী?

, প্রবাসী

সাকিব চৌধুরী, চীন করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 22:48:47

কোভিড-১৯ যা করোনাভাইরাস নামে এখন বেশি পরিচিত। বিশ্বব্যাপী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ, মারা গেছেন ৩ হাজারের বেশি।

সর্বত্র করোনাভাইরাস নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। মানুষের মনে রয়েছে ভাইরাস নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। তাই ভাইরাস নিয়ে জানা-অজানা কিছু তথ্য এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।

ল্যাটিন ভাষার শব্দ ‘ভাইরাস’ হচ্ছে একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব। এর অর্থ হল বিষ। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ হচ্ছে ভাইরাস।

অবস্থান
উদ্ভিদ, প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি জীবদেহের সজীব কোষে ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করতে পারে। আবার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বাতাস, মাটি, পানি ইত্যাদি প্রায় সব জড় মাধ্যমে ভাইরাস অবস্থান করে। কাজেই বলা যায়, জীব ও জড় পরিবেশ উভয়ই ভাইরাসের আবাস।

আয়তন
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষুদ্র। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায় না। সাধারণত এদের আকার ১০ এনএম থেকে ৩০০ এনএম পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু ভাইরাস এর চেয়েও বড় হতে পারে।

আকার-আকৃতি
ভাইরাস সাধারণত গোলাকার, দণ্ডাকার, বর্তুলাকার, সূত্রাকার, পাউরুটি আকার, বহুভুজাক্রিতি ও ব্যাঙাচি আকারের হয়।

গঠন
ভাইরাসের দেহে কোন নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম নেই; কেবল প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড দিয়ে দেহ গঠিত। কেবলমাত্র উপযুক্ত পোষকদেহের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এদের অভ্যন্তরীণ তথ্য বহনকারী সূত্রক দুই প্রকারের হতে পারে: ডিএনএ এবং আরএনএ।

রোগ
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের নানা সময়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে, সেগুলো হলো— বসন্ত, জলাতঙ্ক, জন্ডিস, ডেঙ্গু, হাম-রুবেলা, সাধারণ ঠান্ডা, এইডস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সার্স ইত্যাদি।

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ দুই প্রকার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সে দুটি হলো— সার্ভিকাল ক্যান্সার ও কাপোসি সারকোমা।

মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। পশু-পাখির রোগ হচ্ছে: বার্ড ফ্লু, ক্যানাইন ডিস্টেম্পার ও ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিসিজ।

ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি উদ্ভিদও। ভাইরাসজনিত উদ্ভিদের রোগের নাম টোব্যাকো মোজেইক ভাইরাস।

তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া

এ সম্পর্কিত আরও খবর