মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি২০ বিশ্বকাপে তারাদের মেলা

  • কায়সার হামিদ হান্নান ,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট , বার্তা২৪.কম, মালয়েশিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি২০ বিশ্বকাপে তারাদের মেলা

মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি২০ বিশ্বকাপে তারাদের মেলা

মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের সামনে মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যত তারাদের এক ঝলমলে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের জন্য অংশগ্রহণকারী সব দলের অধিনায়করা পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের সামনে অফিসিয়াল ছবির জন্য জড়ো হয়েছিলেন।

টুর্নামেন্টের ১৬টি অংশগ্রহণকারী দলের অধিনায়করা টুর্নামেন্টের ট্রফির সাথে গর্বের সাথে ছবি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকের চোখেই আগামি ২ ফেব্রুয়ারি ট্রফিটি জয়ের স্বপ্ন। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত এবং স্বাগতিক মালয়েশিয়া ট্রফির কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন। আর অন্য ১৪টি দলের অধিনায়করা তাদের চারপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ভারতীয় দলের অধিনায়ক নিখি প্রাসাদ বলেন, একটি নতুন শিরোপা জয়ের দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে আমি এখানে আছি। গত দুই বছরে আমাদের পূর্বসূরিদের জয়ের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছি। অধিনায়ক দিবসে উপস্থিত হতে এবং ১৫টি অন্য অধিনায়কের সাথে মেলামেশা, বিশেষ করে কুয়ালালামপুরের বিশাল টাওয়ারের পটভূমিতে এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ট্রফির দিকে তাকালে আমার ভেতরে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করে। ২০২৩ সালে এই ট্রফির মালিকানা আমরা পেয়েছিলাম, এটা ধরে রাখার জন্য আমিও আমার দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের নবাগত সামোয়া দলের অধিনায়ক অ্যাভেটিয়া ফেটু মাপু বলেন, অন্য অধিনায়কদের সাথে যোগ দিতে পেরে এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।

পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের সামনে অধিনায়কদের এ মিলন মেলা একটি বিরল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এরপরেই আগামি ১৮ জানুয়ারি থেকে গ্রুপ স্তরের জন্য তারা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোণে ছড়িয়ে পড়বেন।

জানা যায়, গ্রুপ সি এর ম্যাচগুলো বর্নেওরো দ্বীপের সারাওয়াকে অনুষ্ঠিত হবে। আর গ্রুপ বি-এর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তখন সিঙ্গাপুরের সীমান্তের কাছে জোহরে লড়াই করবে। গ্রুপ এ এবং ডি-এর দলগুলো রাজধানীর কাছাকাছিই থাকবে। উভয় দলই বায়ুমাসওভাল এবং ইউকেএম ওভালে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে।

টুর্নামেন্টটি ৪১টি ম্যাচ নিয়ে সাজানো হয়েছে। যেখানে প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিনটি দল সুপার সিক্স পর্যায়ে অগ্রসর হবে। গ্রুপ স্তরের সময় অর্জিত পয়েন্টগুলো এগিয়ে যাওয়া দলের বিপক্ষে ধার্যমান থাকবে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে সুপার সিক্স গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুইটি দল সেমি-ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে।