চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়ানো চলমান করোনাভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দুই মাসে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে একশ এর বেশি দেশে ।
চীনের বাইরে বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ রূপ নিয়েছে ভয়াবহ অবস্থায়। ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন দেশে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশকে নানান ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে।
এরই অংশ হিসাবে ভাইরাসটির শুরুর দিকে অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। কিন্তু এখন এটি শুধু মাত্র চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন দেশও অন্য দেশের সাথে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
ভাইরাসটির কথা গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই চীনের সাথে সাময়িকভাবে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ইতালিসহ আরও অনেক দেশ।
গত বুধবার ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আমেরিকা যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের টুরিস্ট ভিসা বাতিল করেছে ভারত। ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৩ মার্চ কার্যকর হয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা।
ওমরাহ যাত্রী ও মসজিদে নববীর ভ্রমণকারীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান ,ইউরোপীয় ইউনিয়ন, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন, সুদান, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইরিত্রিয়া, কেনিয়া এবং সোমালিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশে সব ধরনের বিমানের ফ্লাইট বাতিল করেছে সৌদি আরব।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কুয়েত বাংলাদেশসহ ৭ দেশে ফ্লাইট বন্ধ করছে । বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে খুব প্রয়োজন ছাড়া প্রবাসীদের দেশে না ফিরতে।
এর আগে চীনসহ ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকার ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে একাধিক দেশ। বিশ্বের অনেক দেশের বিমান সংস্থাগুলোর অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করেছে।
কিছু দেশ তাদের নৌ বন্দর গুলোও বন্ধ রেখেছে।এ ছাড়াও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে অন্য বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬১৩। এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ হাজার মানুষ।