গত বছরের ডিসেম্বরে শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল চলমান করোনাভাইরাস( কোভিট-১৯)। শুরুর দিকের এর প্রকোপ চীনের হুবেই প্রদেশে থাকলেও এক সময় করোনা ছড়িয়ে পড়ে চীনজুড়ে।
চীনে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের দেহে সংক্রমণ হয় এই ভাইরাস। এর পর ধীরে ধীরে তা ছড়াতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একে একে করোনা তার ভয়াল থাবা বসিয়েছে বিশ্বের প্রায় সবদেশে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশের নামও।
৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে তিন জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়।
৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে, মারা গেছেন ১৭ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।
বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি কিংবা তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরা বাংলাদেশে শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হলেও গত এক মাসে তা আর এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও করোনার লোকাল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে।
শনাক্ত হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম কয়েক সপ্তাহ শনাক্তের সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করে এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের বেশকিছু এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে সরকার।
চলতি মাসে বাংলাদেশে করোনা ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে এই মুহূর্তে কিছু দিনের জন্য সবার নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।