বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম এমন ভ্যাকসিনের পেটেন্ট অনুমোদন দিয়েছে চীন।
চীনের তৈরি এ ভ্যাকসিন পিপলস লিবারেশন আর্মি একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস এবং চীনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়ো কর্তৃক উদ্ভাবিত রিকম্বিন্যান্ট অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর-ভিত্তিক ভ্যাকসিন।
চীনের পিপলস ডেইলি জানায়, পেটেন্ট আবেদনের জন্য ১৮ মার্চ জমা দেওয়া হয়েছিল এবং পেটেন্ট নথি অনুসারে ১১ আগস্ট অনুমোদন দেওয়া হয়।
অ্যাড 5-এনসিওভি নামে এ ভ্যাকসিনটি মানব দেহে করোনাভাইরাস থেকে জিনগত উপাদান প্রবর্তনের জন্য একটি দুর্বল সাধারণ কোল্ড ভাইরাস ব্যবহার করে। এর লক্ষ্য হলো অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য শরীরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। যা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
গত মাসে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, এ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এটি নিরাপদ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছে। তিন ধাপের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আরও অংশগ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং বিদেশে পরিচালনা করা হবে।
পেটেন্ট মূলত এর মালিককে তার উদ্ভাবনের সুরক্ষা প্রদান করে। পেটেন্ট হচ্ছে আইনগত সুরক্ষা, যা কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য, প্রক্রিয়া বা প্রয়োগের বিষয়টি নকল করা থেকে বিরত রাখে। পেটেন্ট মালিকের অনুমতি ছাড়া তার উদ্ভাবনটি বাণিজ্যকভাবে তৈরি, ব্যবহার, বিতরণ বা বিক্রি করা যাবে না।
ভেক্টর ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং একসঙ্গে অনেক রোগই নির্মূল করতে সক্ষম। করোনাভাইরাসের প্রোটিনকে প্রতিরোধ করতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে সক্ষম এ ভ্যাকসিন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।