বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। রোববার (১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের দেয়া তথ্যমতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু বরণ করেছেন ১২ লাখের বেশি মানুষ। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারিতে বিশ্বের মোট ২১৮টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার কোটি ৬৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৭। এর মধ্যে ১২ লাখ ২১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে তিন কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ১৪জন।
করোনা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নাম। মাঝে কিছুটা স্থির হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এদিকে সেকেন্ড ওয়েভের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোতেও।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯৪ লাখ ২ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ২ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮১ লাখ ৮২ হাজার ৮৮১ জন। মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৯ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০৩।
তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৫। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯০২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৮ জন।
এদিকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে শনিবার পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৮৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৯২৩ জন। এখন নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৫ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও বর্তমান সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্বের চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ১১ মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষণা করে।