ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ময়করভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চার বছর পর স্বল্প-মেয়াদী ব্যবসায়িক গোলযোগ এবং প্রধান দীর্ঘমেয়াদী নীতিগুলোর পরিবর্তনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বিনিয়োগকারীরা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীরা নাটকীয়ভাবে বিভিন্ন পথের মুখোমুখি হতে পারেন। দেশটির কর, সরকারি ব্যয়, বাণিজ্য এ সবকিছুই নির্ভর করছে হোয়াইট হাউস কে জিতবে।
জাতীয় মতামত জরিপে বাইডেন এগিয়ে থাকলে যুদ্ধক্ষেত্রের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। তাই বলা চলে বাজারগুলোকে কাঁপানোর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে নির্বাচনের অন্তত 'নিকটতম ফলাফল'।
ইনভেস্কোর প্রধান বৈশ্বিক বাজার কৌশলবিদ ক্রেস্টিনা হুপার বলেন, এই মুহূর্তে বাজারগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনকে ভয় পায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন ব্যতীত অন্য যেকোনো কিছুই বিশেষত একটি সিদ্ধান্তমূলক জয় শেয়ার বাজারের জন্য সুসংবাদ হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে, বাজারের পদক্ষেপগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে বিনিয়োগকারীরা একটি "ব্লু ওয়েভ" এর উপর বাজি ধরে আছেন। যেখানে বাইডেন নির্বাচিত হলে তার অধীনে থাকা গ্রিন এনার্জি এবং সোলার স্টকগুলো উপকৃত হতে পারে।
এদিকে মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানও বোরটেল ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সাধারণ অংশীদার পিটার বোর্টেল বলেন, 'সিনেট যদি 'নীল' হয়ে যায় তবে আমার ধারণা বিনিয়োগের হারগুলো আরো উপরে উঠে যাবে এবং এটি আর্থিক পরিষেবা খাতকে মারাত্মকভাবে সহায়তা করবে। আমার বিনিয়োগগুলি দীর্ঘমেয়াদী এবং আমি মনে করি আমরা সেই দৃশ্য থেকে উপকৃত হব'।
তবে ভোটযুদ্ধে বিশ্লেষকরা বাইডেনের জয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বিষয়ে উদ্বেগের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। দুই প্রার্থী তাদের প্রচারণাও শেষ করেছেন। করোনায় নানামুখী সংকটে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচন হবে অন্যান্য নির্বাচন থেকে একবারে আলাদা এবং চ্যালেঞ্জিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার এ লড়াইয়ে এবার মুখোমুখি রিপাবলিকান প্রার্থী ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
এখন পর্যন্ত ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত দেশটির নয় কোটিরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছে। দেশটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। জনমত জরিপগুলো বলছে- জো বাইডেন এগিয়ে থাকলেও চার বছর আগের নির্বাচনে বিশ্লেষকদের নিশ্চিত রায় ভুল হওয়ায় নির্দ্বিধায় কোন ধরনের পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন না বিশ্লেষকরা।