মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। এবারের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই অন্তত ৯ কোটি ৬০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার ডাকযোগে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। যা মোট ভোটের সংখ্যায় ২০১৬ সালের নির্বাচনের দুই তৃতীয়াংশ।
শুরু থেকে ডাকযোগে ভোট দেয়ার বিরোধিতা করে এসেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাক-ভোটের কারণে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ দীর্ঘ হতে পারে। এমনকি জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। আর তাই যেসব রাজ্যে ডাক-ভোটের কারণে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে না, সেগুলোতে আইনজীবী নিয়োগের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যান্টনে একটি সমাবেশে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, নির্বাচনের তিন দিন পর আগত মেল ব্যালট গণনা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি এটিকে 'বিপজ্জনক পরিস্থিতি' বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে ট্র্যাম্পের উপ-প্রচার প্রচারক জাস্টিন ক্লার্ক বলেছেন, 'ব্যালট গ্রহণ ও গণনার জন্য রাষ্ট্রের সময়সীমা নষ্ট করাসহ যেকোনো গণতান্ত্রিক প্রয়াসের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে'। -রয়টার্স
এদিকে ট্র্যাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের প্রচার ব্যবস্থাপক জেনিফার ও'ম্যালি ডিলন সোমবার সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে বিগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ করতে নির্বাচনের রাতের পর নিয়মিতভাবে সময় প্রয়োজন হয়েছিলো।
তিনি বলেন, 'কোনো পরিস্থিতিতেই নির্বাচনের রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে না'।
এদিকে যদি কোনোভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী কোনো প্রার্থীর নাম স্পষ্টভাবে না উঠে আসে তবে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী নবনির্বাচিত হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যরা ৬ জানুয়ারির মধ্যে ঠিক করে থাকেন প্রেসিডেন্ট কে হবেন। এরপর ২০ জানুয়ারির মধ্যেও যদি কোনো মীমাংসা না হয়, সেক্ষেত্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বা স্পিকারকেই প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার নিয়ম রয়েছে। তবে এই ধারায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উনিশ শতকের পর আর হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে আছে নানা জল্পনা কল্পনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নির্বাচনে কার হাতে যাবে হোয়াইট হাউসের চাবি সেদিকে সকলের মনোযোগ।
জানা গেছে, গত শনিবার পর্যন্ত ৯ কোটিরও বেশি ভোটার অগ্রিম ভোট দিয়েছে। যে দৌড়ে অবশ্য এগিয়ে আছে ট্র্যাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন। তারপরেও গত নির্বাচনে ট্র্যাম্পের বিস্ময়কর জয়ে পরে এবার আর ভবিষৎবাণী করতে চান না বিশেষজ্ঞরা। তাদেরও অপেক্ষা শেষ ভোট পর্যন্ত।