জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলের পথেই এগিয়ে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট। সম্ভাব্য জয়ের পথে ডেমোক্রেট জো বাইডেন আর নিশ্চিত ভরাডুবির মুখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ঘণীভূত হয়েছে নির্বাচন-পরবর্তী অনিশ্চয়তার আশঙ্কা।
নির্বাচনে প্রথম প্রাপ্ত ফলাফলে বাইডেনের বিজয়ের আভা ছড়িয়েছে। প্রথম রেজাল্টকে সাধারণত সৌভাগ্যের চিহ্ন রূপে গণ্য করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সীমান্তবর্তী নিউ হ্যাম্পশায়ার শহরতলির একটি ছোট্ট জনপদ ডিক্সভিল নচের ভোটগ্রহণ শেষ। ফলাফলও পাওয়া গেছে। জো বাইডেন শতভাগ ভোট পেয়ে সেখানে বিজয়ী হয়েছেন। ওই জনপদের মোট ভোটার পাঁচজন। বাইডেনের বাক্সে সবগুলো ভোট পড়েছে।
তাছাড়া যে আটটি রাজ্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে, সেখানে এগিয়ে বাইডেন। অঙ্গরাজ্যগুলো হলো 'ব্যাটলগ্রাউন্ড নামে পরিচিত পেনসিলভানিয়া, ওহাইও, মিশিগান, উইসকনসিন, আইওয়া, আরিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এদের ছয়টিতে বাইডেন ও দুটিতে ট্রাম্প এগিয়ে। আইওয়া ও ওহাইও'তে যথাক্রমে ৬টি ও ১২টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে, যাতে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে। অন্য দিকে বাইডেন বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বাকিগুলোতে, যেখানে ইলেক্টোরাল ভোট বেশি।
বিশ্লেষকরা এই ফলকে তাৎপর্যযুক্ত বলে মনে করে বলেছেন, 'বিষ্ময়কর বাজিমাৎ' করার মতো কিছু না হলে ট্রাম্পের পরাজয় সুনিশ্চিত। তবে বিপুল আয়তন ও বিচিত্র জনসংখ্যার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এতো ইস্যু আছে যে দ্বিমুখী লড়াইয়ের হাড্ডাহাড্ডি ভোটযুদ্ধের বিষয়ে আগাম কিছুই বলা যায় না।
তবে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই পাওয়া যাবে নির্বাচনের পুরো রেজাল্ট। নাটকীয় কিছু না হলে বাইডেনের বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র, এমনটিই সবার অভিমত। যদিও 'রগচটা ট্রাম্প' সবার মতামতকে উড়িয়ে দিয়ে বিজয়ে আশা বেশ জোরেশোরেই করছেন। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কার মুখ জয়ের হাসিতে উদ্ভাসিত হয়।
ভোটে কে বিজয়ী হবেন, তারচেয়ে বেশি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রসঙ্গ। ট্রাম্পের উগ্র কথাবার্তায় দক্ষিণপন্থীরা প্রভাবিত হলে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে। অস্ত্রের ব্যবহার ও সহিংসতার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ফলে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আশঙ্কাজনক ঘটনা হয়ে দেখা দিয়েছে।