যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পাশাপাশি ভোটেও এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, জো বাইডেন এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা) মোট ভোট পেয়েছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ২ হাজার ৫৮৫ এবং দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২৯৯টি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তার সম্ভাব্য ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২০৯টি। বিপরীতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভোট ১১৮টি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জো বাইডেন ১৪টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন। আর ট্রাম্প ১৭টি রাজ্যে বিজয়ী হয়েছেন। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর ৫০টি রাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি মিলে মোট ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের দরকার।
জো বাইডেন যে ১৪টিতে জয় পেয়েছেন সে রাজ্যগুলো হলো- ভারমন্ট, ডেলাওয়ার, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, কানেক্টিকাট, কলোরাডো, নিউ মেক্সিকো, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ইলিনয়, ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, ওয়াশিংটন রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ১৭টিতে জয় পেয়েছেন সে রাজ্যগুলো হলো- ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, টেনেসি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, আরাকানসাস, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, আলাবামা, সাউথ ক্যারোলাইনা, লুইজিয়ানা, নেব্রাসা এবং নেব্রাসার থার্ড ডিসট্রিক্ট, উটাহ, মিজৌরি, কানসাস, ওয়াইওমিং এবং মিসিসিপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দিকে। এগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট। নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ অঙ্গরাজ্যগুলো। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কিন বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ভোটের পরিবেশ ছিল উৎসাহপূর্ণ ও ইতিবাচক। পরিস্থিতি ছিল অনেক শান্ত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট প্রদান করেন আমেরিকানরা।
করোনার কারণে এবার ভোটের আগেই ‘মেইল ইন অর্থ্যাৎ ডাক যোগে’ ১০ কোটি ২ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। যা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোট ভোটারের ৭৩ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।