মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালীন গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি টুইট করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে সাতটিকেই ‘বিতর্কিত’ হিসেবে ‘লেবেল’ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প সবশেষ টুইট পোস্টে টাইটারকে আক্রমণ করেছেন। এই পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘টুইটার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। যা সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০ ধারা ব্যবহারের ফলে।
নির্বাচনের দিন ‘আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, কিন্তু তারা নির্বাচন চুরির চেষ্টা করছে। আমরা কখনোই তাদের সেটা করতে দেব না। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে ভোট গ্রহণ করা যায় না।’- এক টুইট বার্তায় ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই টুইটের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয় সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠান টুইটার। টুইটার বলছিলো, এখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী তথ্য থাকতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সঠিক তথ্য খুঁজে দেখার জন্য টুইটার ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছে। এরপর ট্রাম্পের আরো ছয়টি টুইট বার্তায় লেবেল দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।
Twitter is out of control, made possible through the government gift of Section 230!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 6, 2020
লেবেল দেওয়া টুইটগুলো সম্পর্কে টুইটার দাবি করেছে, ‘এই টুইটে শেয়ার করা কিছু বা সব কন্টেন্ট বিতর্কিত এবং এগুলো একটি নির্বাচন বা অন্য নাগরিক কার্যধারার জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ভোট গণনা যত শেষের দিকে যাচ্ছে, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগও তত দৃঢ় হচ্ছে। ভোট কারচুপি ও ব্যালটে ফলস ভোট পড়ার দাবি তুলে নির্বাচনের বিষয়টিকে বিতর্কিত করে ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদ সংস্থাগুলোতে প্রকাশিত ফলাফলে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে এ পর্যন্ত বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪টি। আর মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হলেই ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন বাইডেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট।