কোভিড-১৯-এর টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতির জন্য শুক্রবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করবে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক এবং এর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) এক বিশেষ সাক্ষাৎকারের সময় সিএনএনকে বলেছেন বায়োএনটেক–এর সিইও উগুর সাহিন।
বায়োএনটেক সিইও জানান, শুক্রবার এফডিএ’র কাছে করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে।
সাহিন আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, খুব দ্রুত টিকা অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে এবং ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই টিকা বিতরণ শুরু হবে। সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের প্রথম চার থেকে পাঁচ মাসে কয়েকশো মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করা এবং যা কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলবে।- জানান তিনি।
‘আমি নিশ্চিত যে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা যায়। তাহলে আগামী গ্রীষ্ম এবং শীতকালকে আমরা স্বাভাবিক রূপে পাব।’
বুধবার করোনা মোকাবিলায় ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংস্থাটি জানায়, টিকার প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মানদণ্ড ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে বিতরণের আগে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য 'কয়েক দিনের মধ্যে' মার্কিন নিয়ন্ত্রকের কাছে টিকাটি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
টিকার চূড়ান্ত কার্যকারিতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে ৯৫ ভাগ স্বেচ্ছাসেবী ভাইরাস থেকে রক্ষা পেয়েছিলো। এটি ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে এটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। টিকাটি গ্রহণের পর গুরুতর কোনো দুঃসংবাদ পাওয়া যায়নি। এটির সুরক্ষা নিয়ে তেমন কোনো উদ্বেগ নেই। ৪৩ হাজার টিকা গ্রহীতার মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ-এর মাথাব্যথা এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষের ক্লান্তিবোধ রয়েছে বলে জানানো হয়।
সারাবিশ্বে চলছে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির দৌড়। প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফাইজার একমাত্র সংস্থা যারা কিনা চলতি মাসের ৯ তারিখের মধ্যে নিজের ৩টি ট্রায়ালই সম্পন্ন করেছে। যা ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছিলো। এছাড়া মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মর্ডানাও তাদের টিকার ৯৪ দশমিক ৫০ ভাগ কার্যকারিতা দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে খুব দ্রুত তারা এফডিএ’র কাছে টিকা ব্যবহারের অনুমতি চাইবে।