প্রেসিডেন্ট হিসেবে একেবারে শেষ সময়ে এসে ক্ষমাশীল হয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে একের পর এক শাস্তিপ্রাপ্তকে ক্ষমা করছেন। আরও তিন জনকে ক্ষমা করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্ট, সহযোগী রজার স্টোন এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ও ট্রাম্পের জামাতা পরামর্শক জারেড কুশনারের পিতা চার্লস কুশনারকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
ম্যানাফোর্ট: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে বিশেষ পরামর্শের তদন্তের অংশ হিসেবে ম্যানাফোর্টকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ৬৯ বছর বয়সী ম্যানাফোর্ট ছিলেন ট্রাম্পের কাছের মানুষদের একজন।
ইউক্রেইনে রাজনৈতিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করে পাওয়া কয়েক কোটি ডলারের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি, ব্যাংক জালিয়াতি এবং বিদেশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে ব্যর্থতাসহ ৮ দফা অভিযোগে ভার্জিনিয়ার আদালত তাকে ৪৭ মাসের কারাদণ্ড দেয়। জেলে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্পের সাবেক এ সহযোগীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং জরিমানা হিসেবে আরও ৫০ হাজার ডলার দেওয়ার কথা ছিল।
রজার স্টোন: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকদের সঙ্গে রাশিয়ার সন্দেহভাজন আঁতাত নিয়ে ওঠে আসা তদন্তে সাজাপ্রাপ্ত ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে স্টোন ষষ্ঠ।
৬৭ বছর বয়সী রজার উইকিলিকসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটিকে মিথ্যা বলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
রজার স্টোনকে ৪০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির আদালত। বিচারক তাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা এবং ২৫০ ঘণ্টার ‘কমিউনিটি সার্ভিস’ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চার্লস কুশনার: চার্লস কুশনারকে ২০০৪ সালে কর ফাঁকি দেওয়া, সাক্ষী হস্তক্ষেপ করা এবং বেআইনি প্রচারণা অনুদানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পরে তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মজার বিষয় হলো- তার বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি মামলা করেছিলেন তিনি ছিলেন ক্রিস ক্রিস্টি। তিনি এখন নিউ জার্সির প্রাক্তন গভর্নর এবং ট্রাম্পের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছেন।