অবশেষে অনেক জলঘোলা করে আমেরিকার ক্ষমতার অলিন্দ 'হোয়াইট হাউস' ছাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রাচারের বিধিবদ্ধ প্রটোকল মেনে ক্ষমতায় অভিষিক্ত হলেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ট্রাম্প চলে গেলেও তার ক্ষত সহজেই যাবে না। বাইডেনকে লড়তে হবে পুনর্গঠন ও পুনরুত্থানের জন্য। ইতিমধ্যে তিনি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যাতে ট্রাম্পের অনুসৃত অনেকগুলো নীতি ও কর্মসূচিকে খারিজ করা হয়েছে।
গোড়া থেকেই আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বয়েসী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখে ঐক্যবদ্ধ নতুন আমেরিকার কথা শোনা গেছে। রাজনৈতিক বিভেদের ফাটলগুলোকে ভরাট করার প্রত্যয়ও তিনি ঘোষণা করেছেন।
বাইডেন ক্ষমতায় এসেছেন অতি সঙ্কুল পরিস্থিতিতে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মের পর থেকে এতো বিভাজিত, উতপ্ত ও মারমুখী অবস্থা আগে কখনোই হয় নি। করোনা ও সহিংতার মাঝ দিয়ে অনেক বিরোধ ঠেলে তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে রক্ষা করে এগিয়ে এসেছেন। শক্তির বিরুদ্ধে গণরায়কে বাঁচাতে প্রাণপণ লড়ে সফল হয়েছেন তিনি।
ফলে নাগরিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সুরক্ষা করার কঠিন দায়িত্ব তাকে সফল করতে হবে সামনের দিনগুলোতে। আমেরিকান মূল্যবোধ বলতে যে বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য এবং ভিন্নমতের মধ্য দিয়ে সকলের জন্য কল্যাণকর নীতি গ্রহণের যে ঐতিহ্য, তাকে সমুন্নত করতে হবে বাইডেনকে।
বাইডেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। সততা ও ধৈর্য দিয়ে তিনি সফলতার সঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন রাজনীতির সুদীর্ঘ পথ। ট্রাম্পের মতো মাথামোটা নন তিনি। তার প্রতি মানুষের আস্থাও সেজন্য অনেক বেশি।
তিনিও সাম্প্রতিক অতীতের রক্তপাত, হিংসা, বিদ্বেষ এড়িয়ে নতুন আমেরিকার ডাক দিয়েছেন। এই নতুন আমেরিকার আহ্বান সফল করতেই হবে বাইডেনকে। নইলে ক্ষয় ও বিভেদে আকীর্ণ আমেরিকাকে পতনের কবল থেকে রক্ষা করা যাবে না।