অভ্যুত্থানবিরোধী গণবিক্ষোভ দমনে মিয়ানমারের সামরিক সরকার আরও কঠোর হচ্ছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উত্তরের কাচিন রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গণবিক্ষোভ দমনে মিয়ানমারে ইন্টারনেট অনেকাংশেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় নগরীতে রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে শুরু করেছে। শনিবার রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে।
ওই আইনে রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেফতার ও যেকোন বাড়িতে তল্লাশি করতে পারবে।
জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহি করতে হবে।
পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলি সামরিক বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা নিরাপত্তাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই, যারা তাদের বৈধ সরকার জন্য প্রতিবাদ করছে।
রোববার সন্ধ্যা নামার পরপরই বাণিজ্য নগরী ইয়াংগন, মিতকিনা এবং রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে সড়কে সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়।
মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে আমেরিকানদের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি কর্মীরাও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং সু চির মুক্তির দাবিতে কাজে যাওয়া বন্ধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কর্মীরা কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা নয়দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে।