যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা সংলাপ কোয়াডের সদস্য বাড়ানোর কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোয়াডের অন্য সদস্য দেশগুলো হলো ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। বিশ্লেষকরা কোয়াডকে মূলত চীন বিরোধী একটি সামরিক জোট হিসেবে বিবেচনা করে।
অরিন্দম বাগচি বলেন, গত ১৩ মার্চ কোয়াডের প্রথম ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন কোয়াডের সদস্য বহর বাড়ানোর কোনো প্রস্তাবই আলোচিত হয়নি।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ১০ মে ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াড হচ্ছে চীনবিরোধী একটি ছোট গ্রুপ। অর্থনৈতিক প্রস্তাবের কথা বললেও এতে নিরাপত্তার উপাদান আছে। এই প্রেক্ষাপটে বলব, এ ধরনের ছোট গোষ্ঠী বা ক্লাবে যুক্ত হওয়ার ভাবনাটা ভালো না। বাংলাদেশ এতে যুক্ত হলে তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ করবে।’
চীনা রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রও। দুই দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে বলেছিলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য তারা লক্ষ করেছেন। তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে তারা পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারের বিষয়েও শ্রদ্ধাশীল।
এখন বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বললেন, কোয়াডের চার সদস্য হলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। এর বাইরে তার নতুন কিছু বলার নেই।
কোয়াডের শীর্ষ বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব শ্রিংলা বলেছিলেন, ‘কোয়াডের সদস্যসংখ্যা বাড়ানো নিয়ে কোনো আলোচনা শীর্ষ সম্মেলনে হয়নি। বাড়ানোর কোনো চেষ্টাও নেই। যদিও কোনো কোনো সদস্য এই অঞ্চলে অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতায় আগ্রহী। যেমন ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউরোপ যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে ‘
তবে চীনা রাষ্ট্রদূতের ওই মন্তব্যের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তাদের অভিমত আগেই জানিয়ে দিয়েছে।