মডার্নার উদ্ভাবিত করোনার টিকার ১৬ লাখের বেশি ডোজের ব্যবহার স্থগিত করেছে জাপান। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় সরবরাহকারীরা কিছু ভায়ালে দূষণ শনাক্ত করায় এসব টিকা ব্যবহার করা হবে না। যদিও জাপান সরকার ও মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিকা ব্যবহারের পর নিরাপত্তা ঝুঁকি কিংবা কার্যকারিতা কম হওয়ার প্রমাণ এখনো মেলেনি। আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে এসব টিকার ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ১৬ আগস্ট বেশ কিছু ভায়ালে দূষণের বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করে মডার্নার টিকার স্থানীয় সরবরাহকারী তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল। গত বুধবার জাপান সরকারকে এ বিষয়ে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তাকেদা কিছুটা সময় নেয়। তবে বিষয়টি জেনে এক দিনের মধ্যেই জাপান সরকার মডার্নার ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজ করোনার টিকার ব্যবহার স্থগিত করেছে।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না জানিয়েছে, এসব টিকা স্পেনের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রোভির কারখানায় বানানো হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে এসব টিকা দূষিত হয়ে থাকতে পারে। মডার্নার মুখপাত্র জানান, দূষিত সন্দেহ করা টিকার ব্যাচ এবং ওই ব্যাচের আগে-পরে পাঠানো টিকার সমস্ত লট ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে মডার্নার পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে।
দূষণের বিষয়টি সামনে আসায় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা এএনএ ও জাপান এয়ারলাইনসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত বন্ধ রেখেছে। জাপান এখন করোনার ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে লড়ছে।
এ ঘটনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা গতকাল জানান, এর ফলে জাপানের গণটিকাদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জাপানের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার আওতায় আসবেন। এমনকি দেশটির হাতে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা থাকবে।
উল্লেখ্য, জাপানের ৫৪ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দেশটির ৪৩ শতাংশ মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।