৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের জন্য ফাইজারের করোনা টিকা নিরাপদ বলে জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের মধ্যে টিকাটি করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। শিগগির শিশুদের মধ্যে টিকাদানের অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
মার্কিন ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক ওষুধ কোম্পানির টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। তবে করোনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি থাকলেও ডেল্টা ধরন পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে মহামারির মধ্যে স্কুল খোলা শুরু হয়েছে, ফলে শিশুদের আক্রান্তের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। অনেক অভিভাবক তার বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছেন।
শিশুদের ওপর ফাইজারের টিকা ট্রায়ালের জন্য ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ২ হাজার ২৬৮ জন শিশুকে নির্বাচিত করা হয়। ২১ দিনের মাথায় এসব শিশুদের দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়। প্রতি ডোজে ১০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৩০ মাইক্রোগ্রাম ছিল। ১২ বছর বয়সী শিশুদের ৩০ মাইক্রোগ্রাম ডোজের টিকা প্রয়োগ করা হয়।
ফাইজার জানিয়েছে, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপত্তা, সহনশীলতা এবং টিস্যু বিবেচনায় ১০ মাইক্রোগ্রামের টিকাটি সাবধানতার সঙ্গে নির্বাচন করেছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফাইজারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. বিল গ্রুবার এপিকে বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মধ্যে ফাইজারের টিকা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
ডা. বিল গ্রুবার বলেন, শিশুদের মধ্যে টিকা নেওয়ার পর কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ( জ্বর বা ব্যথা) দেখা গেছে।
গ্রুবার বলেন, শিশুদের জরুরি ব্যবহারের জন্য এই মাসের শেষের দিকে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে। কিছুদিন পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রকদের কাছে আবেদন করা হবে।