আফগানিস্তানের রাজধানীতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সক্রিয় একটি শাখাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। সোমবার (০৪ অক্টোবর) তারা এ দাবি করে। আগের দিন রোববার বিকেলে কাবুলের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হন। এ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই দাবি করল তালেবান।
ওই হামলার এক দিন আগে গত শনিবার জালালাবাদ শহরেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে নিহত হন চারজন। এসব হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও আইএসকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের পর রোববার সন্ধ্যায় তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের উত্তরে অভিযান পরিচালনা করেন।
টুইটারে তিনি লেখেন, লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে চালানো সফল অভিযানে আইএসের কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এএফপির সংবাদদাতারা অভিযানকালে বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের শব্দ শুনেছেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দেখা গেছে।
কাবুলের বাসিন্দা ও সরকারি চাকরিজীবী আবদুল রহমান এএফপিকে বলেন, তিনি যে এলাকায় থাকেন, তার পার্শ্ববর্তী এলাকার তিনটি বাড়িতে তালেবানের বিশেষ বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য অভিযান চালান। এ সময় কয়েক ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে। গোলাগুলির শব্দে রাতভর তাঁরা জেগেই ছিলেন।
আবদুল রহমান আরও বলেন, ওই এলাকায় আইএসের জঙ্গিরা ছিলেন। অভিযানে কতজন জঙ্গি নিহত বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। তবে দুই পক্ষের লড়াই ছিল তীব্র।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের মা গত সপ্তাহে মারা যান। তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় রোববার কাবুলের ঈদগাহ মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিকেলে মসজিদটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাকে বলেন, বিস্ফোরণে ৫ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও তালেবান যোদ্ধারা রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মুজাহিদ সোমবার এএফপিকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে এতে আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার আভাস পাওয়া গেছে।