করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ এড়াতে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় আট দেশের ওপর ভ্রমণ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে। তবে, মার্কিন নাগরিক এবং বাসিন্দাদের এই সব অঞ্চল থেকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কানাডাও এ ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, এসওয়াতিনি, মোজাম্বিক ও মালাওয়ি ছেড়ে আসা ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
এর আগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন এই প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ পদক্ষেপকে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগপর্যন্ত ‘সতর্কতামূলক উদ্যোগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ওমিক্রন প্রথম ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়। তারপর অন্যান্য দেশে শনাক্ত হয়েছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছেন, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার বিপরীতে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসের নতুন মিউটেশন সম্পর্কে তাদের এখনও অনেক কিছু জানার আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নতুন রূপটির প্রভাব বুঝতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে, কারণ বিশেষজ্ঞরা এটি কতটা সংক্রমণযোগ্য তা নির্ধারণ করতে কাজ করে।
শুক্রবার ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক তথ্যে বলা যায় নতুন রূপটি অন্যান্য রূপের তুলনায় পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে।