স্লোভেনিয়ার বাচ্চা ড্রাগন!

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 07:33:57

স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুব্লজানার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত পোস্টোজনা গুহায় রয়েছে বাচ্চা ড্রাগন। নাম ওলমস বা ল্যাটিন ভাষায় প্রোটিয়াস অ্যাঙ্গুইনাস। বাচ্চা ড্রাগন ওলমস ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং এরা পাণিতেই বসবাস করে থাকে।

প্রোস্টোজনা গুহা ইউরোপের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা আকর্ষনীয় ভূগর্ভস্থগুলোর মধ্যে একটি। যার মধ্য দিয়ে একটি রেলপথ রয়েছে। ইউরোপের শেষ রোমান সম্রাট অস্ট্রিয়ার ফ্রাঞ্জ ১৮১৮ সালে প্রথম উদ্বোধনী সফর শুরু করে সেখানে। এরপর থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করে গুহাটিতে। এখন পর্যন্ত এই গুহায় ৩৫ মিলিয়নের বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছে।

ছবি: সংগৃহীত

৩৭৭ ফুট গভীরতায় যাত্রা করার সময় কখনও কখনও দর্শনার্থীদের এক মিটার চওড়া স্লিটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেখানেই দেখা মেলে ওলমসের। পাণির বাইরে কিংবা স্থলে বাচ্চা ড্রাগন ওলমস প্রজাতির বিকাশ ঘটে না।

স্থানীয়রা ওলমসকে বাচ্চা ড্রাগন বলার কারণ হিসেবে জানা যায়, ড্রাগন যখন বিলুপ্ত হয়েছিল তখন তারা পোস্টজনা থেকেই ভেসে গিয়েছিল। পোস্টোজনা গুহাটি ছিল ড্রাগনদের আবাসস্থল। তাই এই গুহায় ওলমসের বসবাস থাকায় তাদের ড্রাগনের বাচ্চা বলা হয়।

ছবি: সংগৃহীত

গুহাটির ভেতরে নির্মিত একটি অ্যাকুরিয়ামে সাঁতার কাটতে দর্শনার্থীদের মুখোমুখি হতে পারে ওলমস। পোস্টোজনার মার্কেটিং এবং পিআর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত মাতেজা রোসাকো বলেন, ‘ওলমস দেখতে প্রায় খেলনার মত। এগুলোকে কখনও কখনও মানব মাছও বলা হয়। কারণ এরা পাণির নিচে বসবাস করলেও তাদের আঁশের পরিবর্তে গোলাপী-সাদা, মসৃণ ত্বক এবং তাদের ব্যস্ত লাল ফুলকার নিচে কার্টুনের মতো আঙ্গুল সহ অঙ্গ রয়েছে’।

ছবি: সংগৃহীত

ওলমস অন্ধ হলেও এরা দর্শনার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে পায়। এরা দৃশ্যত কম্পনের প্রতি সংবেদনশীল। ফলে অ্যাকুরিয়ামের কাঁচের পাশে এসে অবস্থান করে থাকে এবং মাঝে মাঝে মুখ তুলে উঁকি দিয়ে থাকে।

এদিকে তরুণ, উৎসাহী জীববিজ্ঞানী প্রিমোজ গেনেজদার বলেন, ‘গুহার অ্যাকুরিয়ামে থাকা ওলমসগুলো কারো কথা শুনলে ভীত হয়ে যায় এবং নিরাপদ স্থান গ্রহণ করে থাকে। এরা একেবারে কারো মুখের সামনে আসবে তা কাকতালীয় বিষয়'।

এ সম্পর্কিত আরও খবর