করোভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ ওমিক্রন প্রতিরোধ করবে বলে দাবি করেছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেক।
স্থানীয় সময় বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) কোম্পানিটি এক ঘোষণায় দাবি করে গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা প্রদান করে বলে মনে হচ্ছে।
ল্যাব গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ ওমিক্রন রোধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। মূল করোনভাইরাস এবং অন্যান্য রূপের উদ্ভবের বিরুদ্ধে দুটি ডোজের সঙ্গে যা তুলনীয়।
ওমিক্রনের ওপর ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণাগারে বিভিন্ন পরীক্ষার পর প্রাপ্ত ফলে দেখা যায়, এই টিকার দুই ডোজ নতুন ও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে না। তবে তৃতীয় ডোজটি (বুস্টার ডোজ) দেওয়ার পর দেখা গেছে আক্রান্তের শরীরে ২৫% বেশি অ্যান্টিবডি দেখা যায়।
সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্তের নমুনাগুলি এমন লোকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে যারা ভ্যাকসিনের দুই বা তিনটি ডোজ পেয়েছে। নমুনাগুলি দ্বিতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ নেয়ার এক মাস পরে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেছেন। কিভাবে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধ করা যায়। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হয়ে নতুন এই রূপ নিয়েছে। এটি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফাইজার জানিয়েছে, তাদের এই ফলাফল প্রাথমিক পর্যায়ের। এটি নিয়ে আরও স্টাডি করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞানীদের যাচাই করার জন্য সম্পূর্ণ ডেটা এখনও তৈরি করা হয়নি।
এটি ল্যাব স্টাডিজর একটি অংশ মাত্র। নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য আরও অন্যান্য ডেটাও প্রয়োজন রয়েছে।
তাছাড়া বিজ্ঞানীদের ওমিক্রন কতটা সংক্রমণযোগ্য পাশাপাশি এটি মানুষকে কতটা অসুস্থ করে তোলে তা আরও জানার প্রয়োজন রয়েছে।