আসন্ন রুশ আক্রমণের আশঙ্কা অব্যাহত থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউক্রেনের দূতাবাস থেকে কর্মীদের প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও অস্থিরতার ওপর ভিত্তি করে ইউক্রেনে ব্রিটেনের দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাসের সমস্ত আমেরিকান কর্মীদের পরিবারকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেইসাথে সেই দেশের নাগরিকদের সফর না করার উপদেশ দিয়েছে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস।
বিগত কয়েকমাস ধরেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সম্প্রতি, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক গোষ্ঠীতে কিয়ভের যোগ দেওয়ার কথা শোনা যাওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে দ্রুত সেনা মোতায়ন করেছে মস্কো। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি থেকে পাওয়া যাচ্ছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত!
এই পরিস্থিতিতে কিয়ভের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন ও কানাডা। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে এরই মধ্যে ইউক্রেন হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন সেনাকে সাহায্য করতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা।
এর আগে ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রনেকে অর্ন্তভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। না হলে সামরিক পদক্ষপে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পৌঁছেছে ৩০ জনের ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী।
এই সাথে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হাতিয়ার ও পাঠিয়েছে লন্ডন, এবং ভবিষ্যতে আরও হাতিয়ার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।