ডেলটাক্রন, ওমিক্রন পেছনে ফেলে সন্ধান মিলেছে কোভিডের নয়া রূপের! এমনই দাবি করে চীনের একদল বিশেষজ্ঞ যে নতুন রূপের নাম দিয়েছে ‘নিওকোভ’। করোনার নতুন রূপের ব্যাপারে চীনা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কার কথা জানালেও রাশিয়ান বিশেষজ্ঞগণ তাতে পাত্তা দিতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) চীনের উহানের চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। এই রূপের মারণক্ষমতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রতি তিন সংক্রমিতের এক জনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ।
উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বাজার চলতি কোনও করোনা টিকাই ‘নিওকোভ’- এর ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তারা।
তবে ‘নিওকোভ’- এর মতো রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ এবং ২০১৫ সালেও। কোভিড-১৯-এর সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল ছিল তৎকালে আবিষ্কৃত 'নিয়ো-কোভ'র। প্রথম এই ধরনের রূপের সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় ‘নিওকোভ’।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই (২৭ জানুয়ারি) রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, 'চীনা বিশেষজ্ঞদের যে নয়া রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।'
আপাতত করোনার সর্বশেষ রূপ ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব ত্রস্ত। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতার জন্য এই রূপ নিয়ে আলাদা ভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার কথা, ব্যাপক সংক্রামক হলেও ওমিক্রনের মারণক্ষমতা অনেক কম।