করোনা আক্রান্ত এক নারীর সংস্পর্শে আসায় স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে গেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ওই নারীর সঙ্গে গত ২২ জানুয়ারি কেরিকেরি শহর থেকে একটি ফ্লাইটে করে নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে এসেছিলেন। দেশটির গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো ওই ফ্লাইটে ছিলেন। তিনিও আইসোলেশনে গেছেন।
সংক্রামিত ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য রোববার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের পরামর্শে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিনি বিচ্ছিন্ন থাকবেন। রোববার (৩০ জানুয়ারি) তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী কোনও উপসর্গ নেই এবং তিনি সুস্থ বোধ করছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শনিবার এক ডজন ফ্লাইটকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। যে কারণে এক বা একাধিক ফ্লাইটের ক্রু করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ অথবা এই ভাইরাসের লাগাম টানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৫০ লাখ মানুষের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মাত্র ৫২ জন। কিন্তু দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭৭ শতাংশ নাগরিক সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত। নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের মতে, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এই সংখ্যাটি ৯৩ শতাংশের বেশি।