চীনের সাংহাইয়ে একদিনে কোভিড-১৯ –এ ১২ জনের মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ১১ জনের মৃত্যুবরণ করেন।
সাংহাইয়ের কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার শহরটিতে উপসর্গযুক্ত ২ হাজার ৭৩৬ জন নতুন রোগী এবং উপসর্গবিহীন ২০ হাজার ৬৩৪ জন নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে শনাক্তের এ সংখ্যা অনেকটা বেশি।
সংক্রমণ, মৃত্যুর এ ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি কড়া লকডাউন ও অনলাইনে কঠোর সেন্সরশিপ শহরটির বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনে থাকা সাংহাইয়ের আবাসিক এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের হতাশা ও ক্ষোভ বাড়লেও কোয়ারেন্টিন এলাকার বাইরে কোভিড রোগী শূন্যে নামিয়ে আনা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল না করার ব্যাপারে অটল রয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
নগরীর মেয়র গং ঝেং বলেন, সময় যত সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে, ততই দাঁত কামড়ে থেকে আমাদের নিজেদের শক্তির দিকে মনোযোগী হতে হবে।
শুক্রবার কোয়ারেন্টিন এলাকার বাইরে রোগী সংখ্যা নেমে ২১৮তে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন এই সংখ্যা ২৫০ ছিল।
সাংহাইয়ের পুরো শহরের লকডাউন শুরু হয় এপ্রিলের প্রথম দিকে, যদিও অনেক বাসিন্দা আরও আগে থেকেই গৃহবন্দি হয়ে আছেন।
চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রকাশিত এক গবেষণায় উত্তরপূর্ব জিলিন শহরের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের বানানো টিকাগুলো এখন পর্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, তবে কোভিডের নতুন ধরনগুলোর ক্ষেত্রে কী ঘটে, তা এখনও অনিশ্চিত।
চীন এখন পর্যন্ত কোভিড মোকাবিলায় তাদের নিজস্ব কোনো এমআরএনএ টিকা আনেনি; অন্য দেশে বানানো এমআরএনএ টিকা আমদানিতেও রাজি নয় তারা।