দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবেই ক্র্যাশ করানো হয়েছিল চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন। দুর্ঘটনার প্রায় দুই মাস বাদে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে তদন্তকারী দল। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
চীনের গুয়াংঝু প্রদেশে বিধ্বস্ত হওয়া সেই প্লেনের ১৩২ জন যাত্রী নিহত হয়েছিলেন।
গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হওয়া সেই প্লেনের ব্লাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) মার্কিন কর্মকর্তাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়, গত মার্চ মাসে বিধ্বস্ত হওয়া চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের প্লেনটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে মাটির দিকে নাক বরাবর নামিয়ে আনা হয়েছিল, যে কারণে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।
এছাড়া চলতি সপ্তাহে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর ব্ল্যাক বক্স থেকে ফ্লাইট ডেটা ইঙ্গিত দেয় যে ককপিটে থাকা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে প্লেনটি বিধ্বস্ত করেছে।
তবে, মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত ২১ মার্চ চীনের গুয়াংঝু প্রদেশের একটি পাহাড়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১২৩ জন যাত্রী এবং নয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। ২৮ বছরের মধ্যে এটি ছিল চীনের সবচেয়ে মারাত্মক প্লেন দুর্ঘটনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারীর বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সময় পাইলটরা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কলের জবাব দেননি। তাই তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাটি একটি ইচ্ছাকৃত কাজ কিনা তা খতিয়ে দেখছেন।
এবিষয়ে চায়না ইস্টার্ন তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কিন্তু এর আগে এয়ারলাইনটি এক বিবৃতিতে বলেছিল, এখনও এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে প্লেনটিতে কোনও সমস্যা ছিল।
বিধ্বস্ত হওয়ার পর চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ প্লেনের পুরো বহরকে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তারা আবার ফ্লাইট শুরু করে।