সমুদ্রপথে খাদ্যশস্য রফতানি শুরু করার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার পরদিনই ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাকে বর্বর বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে হওয়া সমঝোতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে, কিয়েভ বলেছে চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন সত্ত্বেও শস্য রফতানি পুনরায় শুরু করার তাদের প্রস্তুতি চলছে।
জেলেনস্কি বলেন, মস্কো খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি মানবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। চুক্তি সই হওয়ার পরদিনই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তাই প্রমাণ করে। তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এখন যদি খাদ্যশস্য রফতানির চুক্তি ভেস্তে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী হবে রাশিয়া।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল যার দুটিকে তারা গুলি করে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। বাকি দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনিবার সকালে ওডেসা শহরে আঘাত হেনেছে।
এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই শুক্রবার (২২ জুলাই) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই চুক্তিটি সই হয় এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এটিকে ঐতিহাসিক সমঝোতা বলে উল্লেখ করা হয়।
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে। এই শস্য রফতানি করা গেলে বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া খাদ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, এই হামলা চুক্তির প্রতি রাশিয়ার প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই তার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং যে শস্য চুক্তিতে তারা সম্মত হয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি, তবে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী তুর্কি সরকার বলেছে যে রুশ কর্মকর্তারা দায় অস্বীকার করেছেন।