যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) তল্লাশির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কয়েকজন রিপাবলিকান শীর্ষ নেতা।
তারা এই তল্লাশির ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তাদের অনেকেই ট্রাম্পের মতো বলেছেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ‘উইচ হান্ট’ চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি এফবিআই ।
গত সোমবার (০৮ আগস্ট) দাফতরিক নথিপত্র ব্যবস্থাপনা তদন্তের জন্য ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার–এ–লাগোতে তল্লাশি চালায় এফবিআই। এ ঘটনা তদন্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রিপাবলিকান নেতারা। অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন। খবর সিএনএন অনলাইনের।
এই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তল্লাশি চালাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফবিআইয়ের সন্দেহ হোয়াইট হাউস থেকে চলে যাবার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়েছেন। তাই ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
কংগ্রেসের সংখ্যালঘুবিষয়ক নেতা কেভিন ম্যাককার্থি সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে। আর এ জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন ম্যাককার্থি। মেরিক গারল্যান্ডকে কাগজপত্র গুছিয়ে দিন গুনতে বলেছেন তিনি। কেভিন ম্যাককার্থি আরও বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসকে রাজনীতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে।
ট্রাম্পের সমর্থনে সরব আরেক রিপাবলিকান মারজোরি টেলর গ্রিন এক টুইটে লিখেছেন, এফবিআই- এর ফান্ড বাতিল করা হোক। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ‘রাজনৈতিক শত্রুদের বিনাশ করতে’ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এ ঘটনার দায় মেরিক গারল্যান্ডের ওপর চাপিয়েছেন। এক টুইটবার্তায় পেন্স বলেছেন, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বাসভবনে নজিরবিহীন তল্লাশি নিয়ে লাখো আমেরিকানদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
বিবিসিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ডিওজে) সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।